skip to Main Content

ফ্যাশন ফ্যাক্ট

ক্যাশমেয়ারের দাম কেন চড়া

ফিনফিনে পাতলা কিন্তু ওম জমাতে ওস্তাদ। এমনকি মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মতো হাড়জমানো শীতেও। হোক মাত্র কয়েক মিলিমিটার পুরু সেই ম্যাটেরিয়াল, তাতে কি! এতে উপস্থিত ইনসুলিন প্রোপার্টিগুলো তো সর্বদা সজাগ। তারপরও তুলনামূলকভাবে মোলায়েম, সূক্ষ্ম, পলকা। শক্তির জোরেও হার মানাবে অন্য যেকোনো ন্যাচারাল টেক্সটাইলকে। ভারত ও পাকিস্তানের কাশ্মীর-অধ্যুষিত অঞ্চলের বিশেষ এক ধরনের ছাগল থেকে সংগৃহীত হয় এই উল। তবে প্রাচীনকালে কিছু মিলত চীন আর মঙ্গোলিয়ায়। আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার কারণে তিব্বত, ইরানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এখন এর বংশবৃদ্ধির চেষ্টা চলছে; সাফল্যও মিলছে। তারপরেও পৃথিবীতে উৎপাদিত মোট উলের মাঝে মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে মিলবে এই ক্যাশমেয়ার। ৬ মাসব্যাপী দীর্ঘ শীত পেরোলে ছাগলগুলোর গায়ে তৈরি হয় ব্যবহার উপযোগী আন্ডারকোট। অর্থাৎ ছাগলের গায়ের কাছাকাছি একদম ভেতরের স্তরের চুল থেকে তৈরি হয় ক্যাশমেয়ার উল। ভেড়ার মতো ক্লিপিং প্রক্রিয়ায় নয়, ক্যাশমেয়ার সংগ্রহ করা হয় কম্বিং প্রক্রিয়ায়। অর্থাৎ চুল আঁচড়ানোর মতো ছাগলের গা ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ে। বড় সাইজের একটি ছাগল থেকে মেলে ১২০ থেকে ২৫০ গ্রাম পশম। দু-তিনটা ছাগলের বছরব্যাপী বেড়ে ওঠা পশম লেগে যায় স্ট্যান্ডার্ড সাইজের একটি স্কার্ফ তৈরিতে। আর প্রমাণ সাইজের সোয়েটার বুনতে প্রয়োজন পড়ে তিন থেকে পাঁচটি ছাগলের পশম। চুলের চেয়ে ছয় গুণ সূক্ষ্ম ক্যাশমেয়ার ফাইবারকে তাই ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টরা ডাকেন সফট গোল্ড বা ডায়মন্ড ফাইবার নামে। প্রাকৃতিকভাবে ধূসর, বাদামি আর সাদা রঙের ক্যাশমেয়ার রাঙানো যায় কালার প্যালেটের যেকোনো রঙে। বোনা যায় কোট, হোসিয়ারি, ব্লেজার, জ্যাকেট, গ্লাভ, সোয়েটার থেকে মোজা পর্যন্ত।

বোতামের অদলবদল

পুরোটাই পুরোনো দিনের প্রথাসিদ্ধ। যার প্রচলন চলে এসেছে আজ অব্দি। অনেক বিশেষজ্ঞের মত, পুরোনো দিনের ইউরোপিয়ান কেতাই কারণ। এ ছাড়া ইতিহাস আরও বলে, ভিক্টোরিয়ার যুগ বা তার আগেও এর প্রচলনের শুরুটা। তখন ভৃত্যদের আনাগোনায় মুখর থাকতে উচ্চবংশীয়দের অন্দরমহল। ফুট-ফরমাশ খাটার মধ্যে এদের অন্যতম কাজ ছিল নারীদের পোশাক পরিধানে সহায়তা করা। সাধারণত ডানহাতি ভৃত্যদের কথা মাথায় রেখে নারীদের জামার বোতাম স্থান পেত পোশাকের বাঁ পাশে। এতে করে মালকিনদের সামনে দাঁড়িয়ে তাদের বোতাম আঁটা সহজ হতো দাসীদের জন্য। অন্যদিকে পুরুষেরা নিজেদের পোশাক নিজেরাই পরতেন। ডান হাতে পোশাকের ডান দিকে বোতাম আঁটাটাই বেশি সহজ। তাই পুরুষের পোশাকের বোতামের প্লেসমেন্ট নারীদের ঠিক বিপরীতে, ডান দিকে।

 ফ্যাশন ডেস্ক
ছবি: ইন্টারনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top