একঝলক
ঈদপোশাকে বাংলার মেলা
ঈদের আয়োজনে বাংলার মেলা সবার জন্য তৈরি করেছে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক। সময়টা এখন গরমের। তাই প্রতিষ্ঠানটি রঙ ও মোটিফের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এবারের আয়োজনে কটন প্রাধান্য পেয়েছে বেশি। কালার ও কাটে পোশাক যেন আরামদায়ক হয়, সে দিকটিও লক্ষ রাখা হয়েছে। ছেলেদের পাঞ্জাবিতে জয়শ্রী সিল্ক, এন্ডি, কটন, খাদি তাঁতে নিজস্ব বুননে ডবি মাল্টি স্ট্রাইপ ম্যাটেরিয়াল রাখা হয়েছে। এসব ট্রেন্ডি পাঞ্জাবি পাওয়া যাবে লং, মিডিয়াম ও শর্ট লেন্থে। ফতুয়া, শার্ট ও হাফ শার্টেও রাখা হয়েছে অনেক ভেরিয়েশন।
বাংলার মেলার প্রধান আকর্ষণ শাড়ি। সিল্ক, এন্ডি, হাফসিল্ক, এন্ডি কটন ব্লেন্ড ও টাঙ্গাইল শাড়ি পাওয়া যাবে এ বছরের ঈদ কালেকশনে।
ওরিয়ন ফুটওয়্যার
আসন্ন ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ওরিয়ন ঈদ কালেকশন হিসেবে যুক্ত করেছে এক হাজারের বেশি নতুন ডিজাইনের জুতা, শতাধিক এক্সক্লুসিভ ডিজাইনের পাঞ্জাবি ও কুর্তা এবং দেড় শতাধিক স্পোর্টস ও ক্যাজুয়াল পোশাক। ঈদ উৎসবের সময়টাতে নারী-পুরুষনির্বিশেষে সবাই চায় নিত্যনতুন পোশাক ও অ্যাকসেসরিজ ব্যবহার করতে। আবার ভিন্ন ভিন্ন আয়োজন বা মুহূর্তে সব ধরনের পোশাক বা অ্যাকসেসরিজ ঠিক পুরোপুরি মানানসই নয়। বিষয়টি মাথায় রেখে ওরিয়ন তাদের ঈদ কালেকশন সাজিয়েছে ঈদের প্রতিটি মুহূর্তের জন্য বৈচিত্র্যময় সব জুতা এবং একই সঙ্গে পোশাক ও অ্যাকসেসরিজের কালেকশন দিয়ে। ‘নেভার বি দ্য সেম’ ভাবধারায় এই ঈদে ওরিয়ন গ্রাহকদের বলতে চাইছে ‘বি ডিফরেন্ট অ্যাট এভরি ঈদ মোমেন্ট’!
সাদাকালোর এথনিক স্মাইল
এবারের ঈদে পোশাক ব্র্যান্ড সাদাকালোর কালেকশনে রয়েছে ভিন্নতা। প্রতিষ্ঠানটিতে পাওয়া যাচ্ছে এথনিক স্মাইল ডিজাইনের পোশাক। অর্থাৎ এথনিক ট্র্যাডিশনাল ক্যাটালগ ‘আলাম’-এর বিভিন্ন নকশা ব্যবহৃত হয়েছে পোশাকগুলোতে।
রাঙামাটির বুননশিল্পী শরৎমালা চাকমা এক শর বেশি ডিজাইন ক্যাটালগ আলাম বুনেছিলেন, যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এবং বিশেষ করে ইংল্যান্ডের কমনওয়েলথ ইনস্টিটিউটে প্রদর্শনী হয়েছে। এতে ফুটে উঠেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ব্যবহৃত ঐতিহ্যবাহী নকশা। এই বুননশিল্পীর ডিজাইনের সমন্বয়ে এবার সাদাকালোর আয়োজন। প্রতিষ্ঠানটি শরৎমালা চাকমার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
দেশালের চেনা তবু চেনা নয়
পোশাক ব্র্যান্ড দেশালের পোশাকে সাধারণত ফুল, পাতার নকশা থাকে। কিন্তু এ বছর ঈদ উপলক্ষে অন্যান্য পোশাক ব্র্যান্ডের মতো দেশালও নকশায় বৈচিত্র্য এনেছে। পোশাকের রঙ, ফর্ম এবং কম্পোজিশনে উঠে এসেছে ভিন্নতা। তাই স্টাইলের নাম দেওয়া হয়েছে চেনা তবু চেনা নয়। নকশাগুলো মূলত দূর থেকে দেখলে মনে হবে ফুল, তবে খুব কাছ থেকে দেখলে দেখার ধরন পাল্টে যায়। ফুলটির ফর্ম পরিবর্তন হয়ে শুধু মোটা দাগের কিছু লাইন, রঙ আর রঙের মিশ্রণ চোখে পড়বে। তেমনি পাতার শিরা, সবজির টুকরো, পাটির বুনন, আড়াআড়িভাবে কাটা রসুন পেঁয়াজ, বুনো ফলের ভেতরের অংশ, পুরোনো কাঠের তক্তার আঁশের দাগ, ছত্রাক, ব্যাঙের ছাতা, আদিবাসীদের হাতে বোনা ঝুরির বুনন- এগুলো আতশি কাচের মধ্য দিয়ে বা আণুবীক্ষণিক দৃষ্টির মাধ্যমে দেখা হয়েছে। তারপর ফর্মগুলোকে বেছে নিয়ে পোশাকগুলোর নকশা সাজানো হয়েছে।
কে ক্র্যাফটের ঈদ আয়োজন
এবারের ঈদের আয়োজনে পোশাক ব্র্যান্ড কে ক্র্যাফটে থাকছে বিভিন্ন ফ্যাব্রিকের সমন্বয়। তাতে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, লং কুর্তি, রেগুলার কুর্তি, টি-শার্ট, টপস-স্কাট, পাঞ্জাবি ও শার্ট- সবই থাকছে। বরাবরের মতো থাকবে যুগল ও ফ্যামিলি পোশাক। ফ্যাব্রিকে থাকছে হ্যান্ডলুম কটন, ভয়েল, লিনেন, টু-টোন কটন, এন্ডি কটন, ডবি ডিজাইন কটন, হাফ সিল্ক, কোটা মসলিন, জ্যাকার্ড, জর্জেট ইত্যাদি। মোটিফের মধ্যে স্থান পাচ্ছে ক্রিট, আফ্রিকান, কালামকরি, এথনিক, ইসলামিক, জ্যামিতিক, জামদানি, ফ্লোরাল, টেক্সটাইল টেক্সচার।
ঈদে রঙ বাংলাদেশ
ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ঈদ উদ্যাপনের প্রস্তুতি। রঙ বাংলাদেশ এবারও সাজিয়েছে ঈদ সংগ্রহ। প্রতিবারের মতো থিমনির্ভর কালেকশন তৈরি করেছে ফ্যাশন হাউজটি। জ্যামিতিক, ইসলামিক নকশা ও ফুল- এই তিনটি থিমেই সাজানো হয়েছে ঈদ কালেকশন। সারফেস অর্নামেন্টেশনে মোটিফ ও নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিন্যাসের সৌকর্য। এবারের ঈদ কালেকশনেও থাকছে পাঞ্জাবি, শার্ট, সালোয়ার-কামিজ-দোপাট্টাসহ শাড়ির পাশাপাশি বাচ্চাদের পোশাক। সঙ্গে জুয়েলারি ও উপহারসামগ্রী। শাড়ির ক্ষেত্রেও ইসলামিক, ফ্লোরাল, জিওম্যাট্রিক মোটিফ প্রাধান্য পেয়েছে। কালেকশনে সমানভাবে গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় আবহ। পাশাপাশি সময়, প্রকৃতি, আবহাওয়া আর আন্তর্জাতিক ট্রেন্ডও।
রূপচাঁদা আবহমান রেসিপি
বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড এবং বিনোদনবিষয়ক ম্যাগাজিন অন্যদিন যৌথভাবে আবহমান রেসিপি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ১৫ মে ফুড ক্যাডেট ইনস্টিটিউটে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সারা দেশ থেকে আসা অসংখ্য রেসিপি প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়। বাছাই করা ৩০টি রেসিপির রাঁধুনিকে রান্নার সুযোগ দেওয়া হয়। বিচারকেরা ৩ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। তারা হলেন প্রথম বিজয়ী শরীফুল ইসলাম, দ্বিতীয় সাহেরা বানু ও তৃতীয় নাদিয়া নাতাশা।