ফ্যাশন ফ্যাক্ট I বর খুঁজতে ব্যাগ
একদম প্রথম দিককার হ্যান্ডব্যাগগুলো আক্ষরিক অর্থে পাতা আর পশুর চামড়ায় তৈরি। তবে মিসরীয় হায়ারোগ্লিফিকের চিত্রিত বর্ণনার নথিতে মেলে হাতব্যাগের গোড়াপত্তনের সময়, ১৪ শতকে। তা-ও কোনো নারী নন, প্রথম ব্যবহারকারী ছিলেন পুরুষ। কোমরে পেঁচিয়ে রাখা হতো ছোট ছোট বস্তার মতো এ ব্যাগগুলো। টাকা আর মূল্যবান পাথর বহনের জন্য। ১৪ শতকে ব্যাগ হয়ে ওঠে মর্যাদার প্রতীক। দামি সব রত্নপাথর আর সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারিতে তখন মোড়ানো শুরু হয় ব্যাগের জমিন, আভিজাত্য প্রকাশে। সিল্কের মতো ম্যাটেরিয়ালে তৈরি হতো সেগুলো। ভীষণ পলকা এ ব্যাগগুলো বাস্তবে তেমন কাজের না হলেও সে সময় বিশ্বাস করা হতো, যাদের এমন ব্যাগ কেনার সামর্থ্য আছে, তারা ভৃত্য পালনেও সমর্থ।
১৯ শতকে ব্যাগ ডিজাইন নিয়ে আরও পরিশীলিত চিন্তার পরিচয় দেন ব্যাগ ডিজাইনাররা। পুরুষদের জন্য তৈরি হয় স্যাচেল আর ব্রিফকেস। মেয়েলি সব ফিচার যোগে তৈরি শুরু হয় ওমেনজ হ্যান্ডব্যাগ। যোগ হতে শুরু করে ফ্যান, গ্লাভ আর মেকআপের জন্য ছোট ছোট কমপার্টমেন্ট। বিশ্বাস ছিল, বর খোঁজার জন্য ব্যবহৃত হতো সেসব ব্যাগ।
শো-অফ শোল্ডার প্যাড
১৯৩০ দিককার সময়। ফুটবল খেলোয়াড়দের প্রোটেকটিভ গিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত শোল্ডার প্যাড হুট করে ঢুকে পড়ে মেয়েদের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে। ফ্রেঞ্চ ফ্যাশন ডিজাইনার এলসা স্ক্যাপারেল্লির হাত ধরে। তখন তার ডিজাইন করা প্রতিটি পোশাক ছিল মেয়েদের আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা আর কর্মক্ষেত্রে আরও ভালো সুযোগ কামনার স্পষ্ট প্রতিফলন। তিনিই প্রথম ওমেনজ ব্লেজারের কাঁধে প্যাডিং পুরে দিতে শুরু করেন। উদ্দেশ্য—কাঁধ আরও চওড়া দেখানো। লুকে পুরুষালি শিলুয়েটের ইলিউশন তৈরি। করপোরেট জগতের নারীদের মাঝে এর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। নারীশক্তিকে আরও উসকে দিতে। ক্ষমতাবান অনুভূত করাতে, পাওয়ার ড্রেসিং মুভমেন্টের অংশ হিসেবে।
ফ্যাশন ডেস্ক
ছবি: ইন্টারনেট