বাইট
ঢাকার আরব্য রজনী
চীনা, ইতালীয়, কোরীয়, থাই ইত্যাদি রেস্টুরেন্টের ভিড়ে পারস্য ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের খাবারের প্রতি যাদের বিশেষ আগ্রহ, তাদের জন্য রয়েছে সুখবর। লা মেরিডিয়ান ঢাকার রুফটপ রেস্তোরাঁ ওলেয়া সাজানো হয়েছে জনপ্রিয় ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের খাবারের সমাহারে। রেস্তোরাঁটির মেনুতে ভূমধ্যসাগরীয় ও অ্যারাবিয়ান অঞ্চলের খাবারে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। রয়েছে নানা ধরনের কাবাব, গ্রিলড মাংস, সামুদ্রিক খাবার, তুর্কি ও পারস্যের বিশেষ কুজিন। খাবারের পাশাপাশি ইন্টেরিয়রের প্রতিও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে রেস্তোরাঁটিতে। এখানে এসে নিজেদের একান্ত মুহূর্তগুলো কাটাতে পারবেন অতিথিরা। রেস্তোরাঁটির প্রবেশদ্বার, চেয়ার, টেবিল, পরিবেশনের পাত্র, আলোকসজ্জা- সবকিছুতেই রয়েছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের আবহ। রঙিন লন্ঠনের মৃদু আলো মুহূর্তেই অতিথিদের নিয়ে যাবে সহস্র মাইল দূরে পারস্যের কোনো নগরে।
সম্প্রতি লা মেরিডিয়ান ঢাকার ওলেয়া রেস্টুরেন্টটি ঢাকায় ৬৩৫টি রেস্টুরেন্টের ভেতর ‘মডারেটলি প্রাইসড’ রেস্টুরেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় হয়েছে। এটি প্রতিদিন খোলা থাকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত।
সিপি ফাইভ স্টারের নতুন শুভেচ্ছাদূত
প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ‘সিপি ফাইভ স্টার’ বাংলাদেশের শুভেচ্ছাদূত হলেন অন্তু করিম ও দোয়েল। ৮ আগস্ট বুধবার বক্স অফিস মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের আয়োজনে সিপি বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সিপি বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট পর্নচাই চারোয়েনসুবসাকুন ও অ্যাসিস্ট্যাস্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সান্তিওংপাঙায়া অ্যাম্বাসেডর হিসেবে অন্তু করিম ও দোয়েলকে ব্যাজ পরিয়ে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোকাকোলা ট্রেড মার্কেটিং ম্যানেজার খন্দকার সেলিম সাদ শানান, সিপি বাংলাদেশের জিএম সাপ্লাই মো. আসাদুজ্জামান, জিএম সেলস মো. মতিউর রহমান। সিপি ফুডকে সারা দেশে আরও জনপ্রিয় করা ও প্রতিটি জেলা, উপজেলায় পৌঁছে দিতে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এই পরিকল্পনায় সিপি ফাইভ স্টারের সঙ্গে কো-ব্র্যান্ডিং করছে কোকাকোলা বাংলাদেশ।
মডেল অভিনেতা অন্তু করিম বলেন, ‘সিপির মতো একটি ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছাদূত হতে পেরে আমি আনন্দিত। একসঙ্গে কাজ করলে আমার বিশ্বাস, ভালো কিছু হবেই।’
ফুডপিয়ন
‘প্রতিবেশীর কিচেন থেকে হোমমেইড খাবার অর্ডার করুন’ স্লোগান নিয়েই যাত্রা শুরু করেছিল খাবারের অনলাইন মার্কেট প্লেস ‘ফুডপিয়ন’। গ্রাহক চাহিদার কথা চিন্তা করে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ চালু করেছেন প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তারা।
ফুডপিয়নের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহদী হাসান জানান, গত বছর চালু হওয়া ফুডপিয়ন এত দিন ওয়েবসাইট-নির্ভর ছিল। গ্রাহকের লোকেশন অনুযায়ী লোকাল শেফদের মেনু থেকে স্বাস্থ্যকর হোমমেইড খাবার প্রতিষ্ঠানটি বাসায় পৌঁছে দিতো। এখন থেকে আরও সহজে অ্যাপসের মাধ্যমে অর্ডার করা যাবে। বর্তমানে ফুডপিয়নের সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে যুক্ত আছেন শতাধিক নারী উদ্যোক্তা, যারা নিজেদের বাসার কিচেনে তৈরি করা খাবার রান্না করছেন গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী। অনলাইনে প্রদর্শিত তাদের মেনুগুলোতে রয়েছে প্রায় ১৫০০ রকমের খাবার।
অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে মেনু থেকে ছবি, মূল্য, ন্যূনতম অর্ডার নাম্বার, রান্নার সময় দেখে গ্রাহকেরা অর্ডার করার পরপরই খাবার তৈরি করা হয়। তাই অর্ডার করার পর মেনু ভেদে সাধারণত ২ থেকে ৬ ঘণ্টার মাঝেই খাবার পেয়ে থাকেন গ্রাহকেরা। এখন পর্যন্ত রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকায় এ সেবা দিচ্ছে ফুডপিয়ন।