কভারস্টোরি I আরতি
আরতিতে থাকে নৃত্যের মুদ্রা, তাল, ছন্দ। তা ধ্রুপদি নয়, বরং লৌকিক। মেহনতিজনের নাচে শারদীয় উৎসব হয়ে ওঠে সর্বজনীন। লিখেছেন জয়রাজ ভট্টাচার্য
মেহনতের নাচ
‘আরতি’ শব্দটা এসেছে আর্তি থেকে। বেঁচে থাকার আর্তি, দুর্যোগ আর দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার আর্তি। আরতি শব্দটার আরেক অর্থ গভীর আসক্তি এবং অনুরাগ। পুরাণে কথিত, অসুরদের শক্তি, ক্ষমতা এবং সমরদক্ষতায় সন্ত্রস্ত হয়ে, দেবতারা একযোগে, গভীর অনুরাগে দেবী দুর্গাকে আবাহন করেন, আর তাঁর কাছে অসুরদের হাত থেকে রক্ষা করার আর্তি জানান। তাই মাতৃশক্তির আরাধনায় আরতি জরুরি।
কিন্তু এই বাংলার মাটিতে আশ্বিন মাসে, অকালে দেবী দুর্গাকে আরতি করার, বরণ করার যে প্রথা, তা শুধু গুরুগম্ভীর ডিসট্যান্ট শাস্ত্রীয় শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ নয়। সেখানে দুর্গা দূরের জন নয়, ঘরের মেয়ে। ছানাপোনা নিয়ে, ভরা সংসার নিয়ে, স্বর্গ থেকে, বৈভব থেকে নেমে আসেন বিপন্ন, নিরন্ন মানুষের পাশে। শরতের আগেই বর্ষা গেছে, বিস্তীর্ণ নদীমাতৃক বাংলা দেখেছে প্লাবন। বাংলার কৃষিজীবী মানুষ গভীর মমতায় মায়ের কাছে আর্তি জানায়- ফসল ভালো হোক এ বছর। মঙ্গলময়ী মায়ের আশিসে শুভ হোক সবকিছু। মর্ত্যে তাঁর সন্তানদের মুখে অমৃতসম দুমুঠো ভাত উঠুক। জীবন বহমান থাকুক।
মানুষের প্রথম বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার- আগুন। অগ্নি, যা তাকে আদিম যুগ থেকে প্রতিকূলতার সঙ্গে যুঝতে সহায়তা দিয়েছে, জীবনধারণে হয়েছে প্রথম সহায়, তাকে উন্নত করেছে আর সমস্ত প্রাণী থেকে। সেই অগ্নিকে মঙ্গলপাত্রে ধরে দেবীর আরতি শুরু হয়। দুলে ওঠে চামর, বেজে ওঠে মঙ্গলবাদ্য, আমাদের বাংলার নিজস্ব ঢাকঢোল আর কাঁসর ঘণ্টা। হিন্দু রিচুয়ালে যে কঠিন, অশøীল বর্ণভেদ প্রথা, তা বাংলায় দুর্গা তথা ঘরের মেয়ে উমার আগমনে অচিরেই খসে পড়ে। বাংলার মেয়েরা মাতৃমূর্তির কানে কানে জানিয়ে আসে নিজের গোপনতম ইচ্ছে। জাতপাতের ব্যবধান নেই মায়ের কাছে পৌঁছতে। যদি জমিদারগৃহে প্রবেশাধিকার না থাকে, দল জুটিয়ে খেটে খাওয়া মানুষ নিজেরাই শুরু করে বারোয়ারি পূজা। ব্রাহ্মণ ছাড়া, উচ্চকোটি মানুষের উপস্থিতি ছাড়াও পূজা সম্ভব। সম্ভব নয় নিম্নবর্গের মানুষ ছাড়া। কুমোর ছাড়া মূর্তি কে গড়বে? কামার ছাড়া দেবীর হাতের অস্ত্র কে বানাবে? কে বাজাবে ঢাক? ঢাক ছাড়া এই বাংলায় উৎসব হয় না, পার্বণ হয় না। নাচ হয় না। আরতি হয় না। শারদোৎসব হয় না। আরতি, উৎসব, মানুষের প্রাণস্পন্দন- এসবের মধ্যে রয়েছে ছন্দ, সুর, নৃত্যের বিভঙ্গ। নৃত্য, সুর, তাল- এসব বিষয়ের পর্যালোচনা থেকেই বুঝতে হবে বাংলার এই উৎসবকে।
তাল বা রিদম ছাড়া নাচ হয় না, জীবনও। আমাদের প্রাণের যে স্পন্দন, তা তালে তালে চলে। তাল কাটলে অসুখ তাল থামলে মৃত্যু। বুকের মধ্যে যে ধুকপুক ধুকপুক বা ইংরেজিতে লাবডুব লাবডুব তা তাল। মানুষ হাঁটে তালে, তাল কাটলেই হোঁচট খায় বা হোঁচট খেলে তাল কাটে। পাখি ওড়ার সময় ডানা ঝাপটায় তালে। মৈথুন তালে তালে গতি কমিয়ে বাড়িয়ে ক্লাইমেক্সে পৌঁছায়। যে ছাদ পেটাচ্ছে, পুকুর কাটছে, গাঁইতি চালাচ্ছে, খুন্তি নাড়ছে, উঠোন নিকোচ্ছে, বাটনা বাটছে- সব ঘটছে তালে। গ্রহ-নক্ষত্র আপন কক্ষপথে তালে ঘুরছে। একচুল তালের এদিক-ওদিক হলেই ব্রহ্মান্ড ভোগে। সুতরাং আমরা যা কিছু দৈনন্দিন করছি, তা তালে তালে করছি। আমরা জ্ঞানত বা অজ্ঞানত নৃত্যেই আছি। কিন্তু এই জ্ঞান আর অজ্ঞানের মধ্যে তফাত বিস্তর। ব্যাপক অর্থে ধরলে তাল আসলে সময়ের আবর্তনকে নির্দেশ করার একটা সূচক। আবর্তন অর্থাৎ রিপিটেশন। রিপিটেশন মানেই একটা প্যাটার্ন। যদি আমরা চারমাত্রার একটা তালকে চার সেকেন্ড মনে করি, তাহলে এক থেকে চার সেকেন্ডের মধ্যে একটা প্যাটার্ন থাকবে, যা এক থেকে শুরু হয়ে চারে গিয়ে শেষ হবে আবার পাঁচ নম্বর সেকেন্ডটাকে এক কাউন্ট করতে হবে। অর্থাৎ এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ, ছয়, সাত, আট না লিখে আমরা লিখছি এক দুই তিন চার/এক দুই তিন চার। এক আর চারটাকে একরকম রেখে মাঝের দুই তিনকে আরও নানান জটিল ভাগে ভাগ করে নিয়ে পারমুটেশন কম্বিনেশনে বিভিন্ন ঝোঁক তৈরি করা। বিশ্বচরাচরে এই ঝোঁক অন্তর্নিহিত এবং আবহমান। মেহনত করতে করতে এই তালের ঝোঁক বা ইনার্শিয়াকে ব্যবহার করে খেটে খাওয়া মানুষ। তার শরীরের নড়াচড়ায় একটা প্যাটার্ন গড়ে ওঠে। এই প্যাটার্নের যে মাধুরিমা তাতে বিযুক্তির বিষাদও লেগে থাকে। নাচের সঙ্গে প্রধান সম্পর্ক কাজের। অলস লোকদের জন্য নাচ নয়। বাকপটুদের জন্য নাচ নয়।
নাচিয়েরা জাতে মাতাল তালে ঠিক। রিপিটেশন বা আবর্তনে মাথা ঘোরে, জগৎসংসার ঘোরে। পারস্পেকটিভ বদলে যায় তবু থামানো যায় না। ঘুরতে ঘুরতেই ঘোর লাগে। তখন আর তাকে বেঁধে চালাতে হয় না। সে নেচে চলে। নাচের নেশায়, নাচের মাতলামিতে, নাচের ঘোরে সে নির্লাজ হয়ে ওঠে, নির্ভার হয়ে ওঠে। অতিক্রম করে যায় তার শরীরের নিজস্ব জড়তা। বদর বদর বলে ভাসিয়ে দেয় ডিঙা। রক্তে শব্দ ওঠে ছলাৎ ছল। যে শৃঙ্খলা নাচে এসেছিল সেই শৃঙ্খলাকেই পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে শরীর। নতুন শৃঙ্খলা তৈরি হয়, কিন্তু শৃঙ্খলটি খসে গেছে স্থায়ীভাবে। নাচে শৃঙ্খলা আছে, কিন্তু শৃঙ্খল নেই। মানুষের নাচের, লোকনাচের এই সারসত্য। কিন্তু ফোক থেকে ক্লাসিক্যাল আসলে পশ্চাদপসরণ। ফোক যে শৃঙ্খল ভেঙে। শৃঙ্খলা তৈরি করে ক্লাসিক্যাল তাকেই আবার হাতকড়া পরায়। বেঁধে দেয় নিয়মে। ক্লাসিক্যাল মানে অভিজাত। অর্থাৎ যা কিছু অভিজাতদের জন্য। বহুজনের থেকে আর্টকে বিযুক্ত করে অভিজাতজনের জন্য কুক্ষিগত করার প্রক্রিয়া ধ্রুপদীকরণ। একজাজেরেশনও। গণ-অংশগ্রহণ নৃত্যের স্বাভাবিক প্রবণতা। নৃত্যের এই দুই স্বাভাবিকতাকেই খর্ব করে ধ্রুপদীকরণ। অভিজাতদের জন্য কিছু আলাদা না করলে তাদের মন ভরবে কেন? এই আলাদা করতে গিয়েই আর্ট প্র্যাকটিশনার আর আর্ট অ্যাপ্রিশিয়েটর এই দুই শ্রেণিভেদ তৈরি হয়। না হলে ছাদ পেটাতে পেটাতে যে শ্রমিকেরা ছাদ পেটাইয়ের গান ধরেছে, বা উত্তরবঙ্গে হাতির পিঠে চড়ে যে মাহুতবন্ধু ভাওয়াইয়া গাইছে, সেখানে এই বিভাজন কোথায়! প্রতিমা বড়ুয়ার কথা হাতিরা শুনতো। বুঝতো। নাচকে ক্লাসিক্যাল করতে গিয়ে, অভিজাতদের জন্য দরবারি করতে গিয়ে পারফরমাররা প্রথমেই একজাজেরেশন বাদ দেয়। শ্রম থেকে বিযুক্ত অভিজাত শ্রেণি তার নাম দেয় সূ²তা বা ডেলিকেসি। কত্থক একমাত্র ধ্রুপদি নৃত্যশৈলী, যা এই উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম ভাগে বিকশিত হয়েছে। তার চালের বিবর্তন লক্ষ করলেই দেখা যাবে কীভাবে সূ²তার নাম করে এর শৈলীকে খর্ব করা হয়েছে। এই নাচ বিকাশ লাভ করেছে বেনারস, লক্ষেèৗ, এলাহাবাদ, লাহোরের অলিগলিতে, বাইজিদের পায়ে। এখনকার কত্থকের মতো লালিমাপ্রধান পেলবতা কিছুকাল আগেও ছিল না। দৃপ্ত ছিল নৃত্যভঙ্গিমা। এমনকি উত্তর ভারতে অভিজাতদের দরবারেও যখন কত্থক হচ্ছে তখনো তা শুধু নন্দলালার মাখন চুরির আখ্যানে সীমাবদ্ধ নয়। প্রথমত অভিজাত পৃষ্ঠপোষকদের বড় অংশ মুসলমান। দ্বিতীয়ত তখনো পারফরমাররা দৈনন্দিন শ্রম থেকে এত বিযুক্ত নয়। ফলে মেহনতের চিহ্ন মুছে ফেলে, প্রতিভার বিচ্ছুরণের মায়াময় কেতায় তারা এত মজে যায়নি।
দক্ষিণে নাচকে জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে মন্দিরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ব্রাহ্মণ্যবাদী আগ্রাসনে নাচ হয়ে ওঠে বিধিনিষেধের তাঁবেদার। তাই নাচকে ধ্রুপদি না বলে শাস্ত্রীয় নৃত্যও বলা হয়। পূর্বে ক্লাসিক্যাল ফর্ম তৈরি হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ কোনো কারণে মণিপুরে একধরনের নাচ দেখেন। পছন্দ করেন, পৃষ্ঠপোষকতা করেন। সেই ফর্মটা মূলত রবীন্দ্রনাথের পছন্দের কারণে ক্লাসিক্যালের মর্যাদা পেয়ে যায়। না হলে মণিপুরের বিস্তৃত বৈচিত্র্যময় নৃত্য উপস্থিতির মধ্যে এই বিশেষ ফর্মটিই সবচেয়ে দুর্বল, আখ্যানমূলক এবং মণিপুরের নিজস্ব আখ্যানপাঠ থেকে সবচেয়ে বিচ্যুত হলো কেন?
আর ওডিশি গুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের একক উদ্যোগে এবং প্রতিভায় ক্লাসিক্যাল হয়েছে শেষ পর্যন্ত। অন্যদিকে সারা পৃথিবীর লোকজ ফর্ম একটা বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। শ্রমের বন্ধন। আফ্রিকায় যে কাঠুরিয়া কাঠ কাটছেন আর দান্তেওয়াড়ার জঙ্গলে যিনি কাঠ কাটছেন, তার কাঠ কাটার আদিম পদ্ধতিতে যে মিল, সেই সিমিলারিটি তার নাচেও। যেহেতু কাঠকাটার রিপিটেটিভ অঙ্গ সঞ্চালনা থেকে তাদের দুজনের নৃত্যের জন্ম। তাই মিলে যায় মণিপুরি থাংটার পাহাড়ি নদীর পাথরে পা ফেলার ভঙ্গির সঙ্গে রায়বেঁশে নৃত্যে মেদিনীপুরের কড়া তপ্ত মেদিনীতে পা ফেলার ছন্দ। আমাদের অ্যাকশনই এখানে মুখ্য, আখ্যান নয়। শ্রমজীবী মানুষের শ্রম দিয়েছে তাকে পেশি। সেই পেশি সঞ্চালনা করে সে দিনরাত উদোম খাটে, আর তাতে ধরে রাখে শ্রমের কৌম স্মৃতি। দিন শুরুর চাঞ্চল্য দিন শেষের মেলানকলিয়া। এই কৌম অচেতন যে ছুঁয়ে যায় নৃত্যে। আঠচালায় মজলিস জমে ওঠে, গোল হয়ে আসে জনগোষ্ঠী। ঘন হয়ে আসে সকলে। বৃত্ত বা ঘূর্ণন সমস্ত আদিম নাচের সর্বজনীন বৈশিষ্ট্য। ব্রাজিলের ক্যাপুয়েরা অথবা কেরলের কালারিপায়াত্তুতে, দুটো ফর্ম থেকে নৃত্য প্রাণিত হয়েছে। দুটোই মার্শাল আর্ট বা সমরশৈলী। তাই নৃত্য মানেই একটা আতুপুতু ব্যাপার, এটা জীবনযুদ্ধ থেকে দূরে থাকা নধরকান্তি রাজরাজড়া আর পুরুতরা বানিয়েছে। পুরুলিয়ার মাটিতে চড়িদা গ্রামে পেপার পাল্পে বানানো মুখোশ পরে যে ছিপছিপে যুবক ধনুকের ছিলার মতো মেরুদন্ডটাকে বেঁকিয়ে উলফা (উল্লম্ফন) দিয়ে ত্রিশূলে গাঁথে অসুরকে সেই যুবকের দুর্গা আর উত্তর ভারতে আর্য আগ্রাসনে নির্মিত দুর্গার আখ্যান এক নয়।
বরং সম্পূর্ণ বিপরীত। মরে যাওয়ার আগে অসুরও ছয় অঙ্গ নাচিয়ে নেয় খুব। মহুয়ার মৌতাতে মাতাল যুবক তার সঙ্গীকে নিয়ে হইহই করে ওঠে। অ্যাপ্রিশিয়েট করে অসুরের নাচ। ভেদাভেদ মুছে যায় আর্ট অ্যাপ্রিশিয়েটর আর আর্ট প্র্যাকটিশনারের। যে দুর্গা সেজেছে, তাকে গিয়ে প্রণাম করে গাঁয়ের বৃদ্ধ মোড়ল। দুজনের কেউ ব্রাহ্মণ নয়, মাহাতো। নবমীর আরতিতে ধুনচি তুলে নেয় বাগদি বাড়ির ছেলে। হেঁটো ধুতি, কোমরে কষে বেঁধে নিয়েছে লাল গামছা। ঢাকে বাজছে খেড়তা খেড়তা ধিম ধিম/ ধিম খেড়তা খেড়তা ধিম। চোখ জ্বলে যাচ্ছে ধুনচির ধোঁয়ায়, রোখ চড়ছে। ছোট জাত বলে, গরিব বলে যত অপমান সারা বছর সহ্য করতে হয়, সেই সব অপমানের বদলা নিয়ে নেবে সে আজ নেচে। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে মাতৃশক্তির লড়াই জাগরূক হবে এই সন্ধ্যা আরতিতে কোনো ব্রাহ্মণের মন্ত্রোচ্চারণে নয়, তার নাচে। মুখ দিয়ে তুলে নেবে উত্তপ্ত ধুনচি। দুই হাতে আরও দুটো। সমস্ত শক্তিকে সংহত করে, সে নিবেদন করবে নিজেকে। প্রতিটি কোষের সম্বল নিঃশেষ করে লুটিয়ে পড়বে দেবীর পায়ে। সমর্পণ করবে। কিন্তু সমর্পণের আগে লড়ে নেবে খুব। যেমন গাজনে নাচ চলে ততক্ষণ, যতক্ষণ না শিব মূর্ত হচ্ছেন। এই তান্ডব ছাড়া, নিজের ওপর শারীরিক নিপীড়ন নামিয়ে আনা ছাড়া নটরাজ জাগবেন কীভাবে! কীভাবে মহররমে নিজেকে যন্ত্রণায় বিদ্ধ না করে আতরাফ যুবক লিখবে তার নিজস্ব লোকগাথা? নাচ ছাড়া কীভাবে বলবে সে? আলীর যন্ত্রণাকে, কাশ্মীরের যন্ত্রণাকে, ফিলিস্তিনের যন্ত্রণাকে সিগনিফাই করছে আমার নাচ। আমার নৃত্যশরীর একাধারে সিগনিফায়ার এবং সিগনিফায়েড। মহররমের যাত্রা আর ভাসানের জুলুস মিশে যায় চলে যায় নিরঞ্জনের পথে। পড়ে থাকে দরিদ্র মানুষ রাস্তায়। পড়ে থাকে রিদম অব দ্য স্ট্রিট। পড়ে থাকে নাচ, মেহনতের নাচ।
লেখক: পশ্চিম বাংলার একজন অভিনেতা, নাট্যকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও সমাজকর্মী
মডেল: শারলিনা, তর্ষা, রিফা, মাহি, নিশুতি
মেকওভার: পারসোনা
জুয়েলারি: কনক
ছবি: সৈয়দ অয়ন