এই শহর এই সময় I বাঙ্ময় ছবি
পেইন্টিং আর ফটোগ্রাফির টাইম-স্পেস আলাদা। কেননা পেইন্টিংয়ের বাস্তবতা প্রতিভাত হয় শিল্পীর অন্তর্জগতের স্থান ও কালচেতনার ওপর ভিত্তি করেই। আর ফটোগ্রাফি হচ্ছে দৃশ্যমান জগতের একটি মুহূর্তকে অর্থপূর্ণ করে দেখানো। সেই মুহূর্তকে ফ্রেমবদ্ধ করার সময় আলোকচিত্রী তার আত্মচেতনা থেকে বাস্তবিক মুহূর্তকে অন্যতর মাত্রা দেন। অন্তত বহমান সময়ের ক্ষণিক ছবি ধরা থাকে ফটোগ্রাফিতে। সবচেয়ে বড় কথা, টাইম ও স্পেস নিয়ে পেইন্টিংয়ের মতো ফটোগ্রাফিতেও নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়, যেমনটি সম্প্রতি দেখা গেল দুটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে।
২৩ অক্টোবর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ৩ নম্বর গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘জলবায়ু ও জনজীবন’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। তাতে বাংলাদেশের আবহাওয়া, বন্যা প্রবণতা এবং একে ঘিরে আবর্তিত জনজীবনের মুহূর্তগুলো ফুটে উঠেছে। আলোকচিত্রগুলোতে জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের নানা অঞ্চলের মানুষের অস্তিত্বসংগ্রাম ধরা পড়েছে।
জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) সুইডিশ সিডার সহায়তায় বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগবিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছিল। প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
আমাদের পছন্দের মুহূর্তগুলো ধরে রাখার তাড়না থেকে ফটোগ্রাফি নামক শিল্পমাধ্যমের উদ্ভব। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি আয়োজিত ‘চতুষ্কোণ’-ন্যাশনাল ফটোগ্রাফি কনটেস্ট ও এক্সিবিশনে ফটোগ্রাফির ব্যাপ্তি উপলব্ধি করা গেছে।
মাসব্যাপী অনলাইনে ছবি সংগ্রহের মধ্য দিয়ে এই প্রদর্শনীর প্রস্তুতি শুরু হয়। প্রায় ১৬০০ ছবি জমা পড়ে। সেখান থেকে বেছে নেওয়া হয় সেরা ৮০টি ছবি। মোট ৫৬ জন ফটোগ্রাফারের ৮০টি ছবি বাছাই করতে বিচারক ছিলেন দুই ফটোগ্রাফার সৈয়দ লতিফ হোসাইন ও সাইফুল হক অমি। ওপেন থিমের এই এক্সিবিশনে অংশগ্রহণ করেছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ, যাদের মধ্যে সংখ্যায় ব্যাপক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে স্থান পায় দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন মুহূর্ত থেকে শুরু করে স্থানকালের নানা স্তরে ছড়িয়ে থাকা জাদুবাস্তবিক মুহূর্তের ছবিগুলো।
২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ৫ নম্বর গ্যালারিতে তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
স্টাফ রিপোর্টার
ছবি: সংগ্রহ