বুলেটিন
ত্বকচর্চায় ‘স্কিপ কেয়ার’
নেক্সট জেনারেশন শিট মাস্ক, এক্সট্রিম অ্যাপ্লিকেশন টুল কিংবা ১২ ধাপের দৈনন্দিন ত্বকচর্চা- সবকিছুতেই কোরিয়ানরা সফল। দু বছর ধরে কোরিয়ান জ্বরে ভুগেছে গোটা সৌন্দর্যবিশ্ব। সেলিব্রিটি থেকে সাধারণ সৌন্দর্যসচেতন- প্রভাব ফেলেছে সবার প্রাত্যহিক রূপচর্চায়। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, খোদ কোরিয়ানরাই এখন পিছু হটছেন। স্বীকার করে নিয়েছেন, কোরিয়ান স্কিন কেয়ার ট্রেন্ডগুলোর পুরো প্রক্রিয়া ভীষণ ক্লান্তিকর। সময়সাপেক্ষও। সেই সঙ্গে প্রয়োজন ছাড়া অনেক রকমের পণ্য ব্যবহার করা হয়। তাই নতুন ট্রেন্ড চালু হয়েছে কে-বিউটিতে। স্কিপ কেয়ার। নানা ধরনের পণ্য ব্যবহারের বদলে ত্বকচর্চায় শুধু প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোই ব্যবহৃত হবে এ ট্রেন্ড মেনে। সে ক্ষেত্রে অল ইন ওয়ান প্রডাক্টগুলো বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে। যা দিয়ে অল্প সময়ে, সহজে সেরে নেওয়া যাবে ত্বকচর্চা। চাই শুধু সঠিক উপায়ে এবং নিয়ম মেনে চলা।
ব্লোটক্স
বিশ্বজুড়ে বোটক্সের রমরমা গেল কয় বছরে বেড়েছে বহুগুণ। মুখত্বকে তো ছিলই, বোটক্সের সুই ফুটেছে শরীরের নানা অংশেও। এবার কসমেটিক ডার্মাটোলজিস্টদের নজর পড়েছে চুলে। ‘ব্লোটক্স’ নামের নতুন এ ট্রিটমেন্ট মাথার ত্বকের জন্য তৈরি। এটা স্ক্যাল্পের ঘাম রুখবে। এর আগে আন্ডারআর্মের ঘাম প্রতিরোধী বোটক্স জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল সৌন্দর্যসচেতনদের কাছে। সেই একই ফর্মুলা এবং টেকনিক ব্যবহৃত হচ্ছে ব্লোটক্সেও। এটা মাথার ত্বককে ঘেমে ওঠা থেকে রক্ষা করবে। ফলে হেয়ারস্টাইল টিকে থাকবে দীর্ঘ সময়। ন্যূনতম ১০০ ইউনিট ব্লোটক্স প্রয়োজন হয় মাথার স্ক্যাল্পের জন্য। তবে তা ক্লায়েন্ট ভেদে বাড়ে বা কমে। সপ্তাহখানেক সময় লাগে এর পরিপূর্ণ ফল পেতে। যা টিকে থাকে চার থেকে ছয় মাস অব্দি। মূল্য শুরু ১২০০ ডলার থেকে।
পোর্টেবল ক্লে মাস্ক
২০১৭-এর এক জরিপ অনুসারে, এখনো ৫৪ শতাংশ মানুষ ঘুমাতে যাবার আগে মুখ ধোয় না। কারণ, অলসতা। বিউটি ব্র্যান্ডগুলো অত্যাধুনিক সব ফর্মুলার পণ্য তৈরি করছে ঠিকই, কিন্তু অলসতা দূর করার ওষুধ কোথায়? স্বস্তির ব্যাপার হচ্ছে, বিউটি ব্র্যান্ডগুলো এ ব্যাপারে বেশ সচেতন। ফলে এমন সব আনকোরা বিউটি প্রডাক্ট এখন বাজারে মিলে যায়, যেগুলো ব্যবহারে ত্বক পরিচর্যায় হ্যাপা কম। স্বল্প সময়েই কাজ সেরে নেওয়া যায়। ফলও দারুণ। বিউটি ব্র্যান্ড ‘ওলে’ এর ক্লে স্টিক মাস্কগুলো এমনই। ট্র্যাডিশনাল ক্লে মাস্ক থেকে একদম আলাদা এ মাস্কগুলো মিলবে স্টিক আকারে। পুরোপুরি শুকিয়ে যাবে না ত্বকে। দারুণ ব্যাপার হচ্ছে, ১০ মিনিটেই চমক টের পাওয়া যায়। তিনটি ভিন্ন ধরনে মিলবে মাস্কগুলো। উজ্জ্বলতার জন্য গ্লো রেডিয়েন্স, গভীর থেকে পরিষ্কারের জন্য পোর ডিটক্স আর এক্সফোলিয়েশনের জন্য ফ্রেশ রিসেট। প্রতিটির দাম পড়বে ১০ ডলার।