skip to Main Content

সম্পাদকীয়

বছরের শেষ সূর্যাস্ত আসন্ন। শুরু হয়ে গেছে হিসাবনিকাশ, চলতি বর্ষের অর্জন-বিসর্জন নিয়ে। এর দরকার আছে। কেননা, বারো মাসের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা যে শিক্ষা পাই, তা নতুন বছরে কাজে লাগে। তবে এ-ও ঠিক, একই অভিজ্ঞতা প্রতিবছরে হয় না। পরিস্থিতিও থাকে না এক রকম। কিন্তু সব ঘটনাই কমবেশি গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর পাঠশালায় সবকিছু থেকে তো আমরা শিখি। সেই শিক্ষা সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলে এগিয়ে যেতে পারি। বিকশিত হতে পারি।
এটা ক্যানভাসের উইন্টার ইস্যু। আপনাদের জন্য আমাদের বছর-শেষের নিয়মিত উপহার। লক্ষ্য উদযাপন। আর বর্তমানে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যৎকে দেখা। জীবন গতিশীল, এর সব মুহূর্তই মূল্যবান। এবং দেখুন, নানা সুখ-দুঃখ, আনুকূল্য-বাধা, ব্যর্থতা-সফলতায় বছর পেরোনোর পর মানুষ নিজের দিকে তাকাতে চায়, বুকভরে স্বস্তির হাওয়া নিতে চায়। বিভিন্ন উৎসব ও বিনোদনে এই আকাক্সক্ষার প্রকাশ ঘটে। আর আমরা চাই তাতে শামিল হতে। সে জন্য শীত উদ্যাপনের যাবতীয় আয়োজন এই সংখ্যার বিষয় হয়েছে।
এবারের কভারস্টোরি স্ট্রিট ফ্যাশন। এটা খুব কৌতূহলকর যে শুরুতে পোশাক-আশাকের মূলধারার বাইরে থাকলেও পরে এই ফ্যাশন কেবল জনগ্রাহ্য হয়নি, অভিজাত শ্রেণির পরিধেয়, এমনকি লালগালিচা ও বিখ্যাত সব ব্র্যান্ডের কনটেন্ট হয়ে উঠেছে। এমনটা দেখা যায় অ্যান্টি-ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও। শুরুতে যা ছিল বঞ্চিত ও অসচ্ছলদের পোশাক, পরে সংগীতদলের সদস্য ও নারীবাদীরা একে গ্রহণ করেন। এখন তো বিখ্যাত ডিজাইনারদের মধ্যেও অ্যান্টি-ফ্যাশনের প্রতি প্রবল আগ্রহ লক্ষ করা যায়। এ নিয়েও বেশ চমকপ্রদ একটি রচনা এই সংখ্যায় স্থান পেল।
শীতের মৌসুমে কীভাবে সুন্দর থাকা যায়, যত্ন নেওয়া যায় নিজের, তা নানাভাবে তুলে ধরা হলো এবার। আর এই সময়ে বাঙালির রসনায় এমন একটি জিনিস যোগ হয়, সারা বছর যার দেখা পাওয়াই অকল্পনীয়। হ্যাঁ, খেজুরের রসের কথাই বলছি। এর গুণপনা নিয়ে তিনটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর রেসিপি উপস্থাপন করা হলো। এ ছাড়া বিরিয়ানির আদ্যোপান্ত নিয়ে একটি ফিচার প্রকাশ পেল। আর আছে ফুড ট্রাভেল।
আপনারা অনেকেই জানেন মর্ডিকাই কোহেনের কথা। এই একমাত্র বাঙালি ইহুদি, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাংলার সংস্কৃতিকে লালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কলকাতায় ছিলেন, সেখান থেকেই নানাভাবে তিনি বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর স্মরণে একটি প্রতিবেদন পত্রস্থ হয়েছে, বিজয়ের মাস মনে রেখেই। অন্যদিকে, খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের পবিত্র বড়দিনের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই সংখ্যায় যিশুর জন্মস্থান বেথলেহেম ভ্রমণের অভিজ্ঞতাঋদ্ধ রচনা স্থান পেল এবারের ছুটির ঘণ্টায়। এ ছাড়া রয়েছে উপভোগ্য অনেক বিষয়-আশয়।

বিজয় দিবস ও বড়দিনের শুভেচ্ছা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top