ছোটবেলায় লুকিয়ে লুকিয়ে অনেকেই হয়তো চিনি খেয়েছেন। এমন সব মানুষের কাছে মিষ্টিজাতীয় খাবার যে খুব লোভনীয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখনো অনেকে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে খুব আসক্ত।
গবেষকেরা বলছেন, অতিরিক্ত চিনি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এমনকি খাবার তালিকা থেকে চিনিজাতীয় খাবার একেবারে বাদ দিলে বেশ কিছু জটিল রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে গ্লাইকেশন নামের একধরনের প্রতিক্রিয়া শুরু হয়, যার প্রভাবে মুখমণ্ডলে বলিরেখা দেখা দেয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা হ্রাস পায়। তাই চিকিৎসকেরা কৃত্রিমভাবে পরিশোধিত করা চিনি খেতে নিষেধ করেছেন।
এ ছাড়া চিনিজাতীয় খাবার একেবারে বাদ দিলে ডায়াবেটিক রোগ হওয়ার প্রবণতা কমে আসে, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
অপর এক গবেষণা থেকে আরও জানা যায়, চিনিজাতীয় খাবার পরিহার করলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দিনে ছয়–সাত চামচ চিনি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর নয়। তবে যারা চিনির প্রতি আসক্ত এবং যারা অনেক বেশি পরিমাণে চিনি খান, তারা অনেক বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।
চিনি সাধারণত আমাদের দেহে শর্করার জোগান দেয়, যা আমাদের কাজ করার শক্তি জোগায়। চিনি ছাড়া এ শক্তি অন্য খাবার থেকেও গ্রহণ করা যায়। তা ছাড়া চিনিতে অতিরিক্ত আসক্তি রয়েছে যা মানুষকে চিনির প্রতি আরও আকৃষ্ট করে, তখন চাইলেও একেবারে চিনিজাতীয় খাবার ছেড়ে দেওয়া যায় না। সুস্থ থাকতে হলে ধীরে ধীরে খাবার তালিকা চিনিজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।