রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় ‘অনন্য বয়নে জামদানি উৎসব’ শিরোনামে জামদানি উৎসব চলছে। শুরু হয়েছে ১৯ জুলাই। এখানে জামদানির বয়ন পদ্ধতি, তৈরি উপাদান যেমন সুতা, রং, নকশার নমুনা দর্শকদের জন্যে প্রদর্শিত হচ্ছে। একই সঙ্গে শত বছরের পুরনো মোটিফের জামদানির সৌন্দর্য উপভোগের রয়েছে সুযোগ।
জামদানি মূলত ওস্তাদ-শাগরেদ ধারাতে তৈরি হয়। এ আয়োজনে একই সঙ্গে ১৮ জন ওস্তাদ ও ২০ জন শাগরেদের বুনন দেখতে পাবেন। তারা নিবিড় বুননে নকশা বুনেছেন মিহি সুতাতে।
১৯ জুলাই প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংক কান্ট্রি ডিরেক্টর (ভারপ্রাপ্ত), বাংলাদেশ ও ভুটান, গেইল মার্টিন; একই প্রতিষ্ঠানের টাস্ক টিম লিডার জু অ্যালিসন ই; টেক্সটাইল বিশেষজ্ঞ, সংগ্রাহক ও কলকাতার দ্য উইভার্স স্টুডিওর সত্তাধিকারী দর্শন মেকানি শাহ।
সেবা’র নারী ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের উদ্যোগে এ আয়োজন। পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছে বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদ ও পিকেএসএফ। সহযোগিতা করেছে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন।
গত ২৩ জুলাই এ উপলক্ষ্যে একটি সেমিনার আয়োজিত হয়। ‘বর্তমানের সচেতন প্রয়াসই সুনিশ্চিত করবে জামদানির ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাংবাদিক ও
গবেষক শেখ সাইফুর রহমান। জামদানির সংরক্ষন বিষয়ে আলোকপাত করেন তিনি।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবধিকারকর্মী ও শিক্ষাবিদ হামিদা হোসেন। মঞ্চে আরও ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী, জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের সভাপতি ও প্রদর্শনীর কিউরেটর চন্দ্র শেখর সাহা, সেবা’র নির্বাহী পরিচালক সাইদা রোকসানা এবং তাঁত বোর্ডের মসলিন প্রকল্পের পরিচালক মোঃ আইয়ূব আলী।
জামদানি উৎসব চলবে আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত। আমাদের দেশের ঐতিহ্য জামদানির আদ্যোপান্ত জানা যাবে এ শিল্প-প্রদর্শনীতে। এর পাশাপাশি আছে জামদানি ও জামদানি ব্যবহারে তৈরি পণ্য কেনার সুযোগ।
- সারাহ্/ ক্যানভাস অনলাইন