এখন আমের মৌসুম। দিকে দিকে আমের আচার কিংবা জুস খাওয়ার ধুম পড়েছে। ফলের রাজা আম যে শুধু খেতেই সুস্বাদু, তা কিন্তু নয়। এতে যেমন রয়েছে পুষ্টি, তেমনি এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আম শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এর ফলে হার্ট আটাকের ঝুঁকি কমে।
ক্যান্সারসহ আরও বেশ কিছু রোগ থেকে দূরে থাকতে সহায়তা করে আম। আমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যেমন কুয়ারসেটিন, আইসোকুয়ারসিট্রিন, অ্যাস্টাগ্যালিন, ফিসটিন, গ্যালিক অ্যাসিড এবং মিথাইলগ্যালাটের মতো এনজাইম রয়েছে। এগুলো আমাদের কোলন, ব্রেস্ট, লিউকেমিয়া এবং প্রোটেস্ট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
নিয়মিত আম খেলে ত্বকের আভ্যন্তরীণ পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়। ত্বকের বন্ধ হওয়া ছিদ্রগুলো খুলতে শুরু করে, যার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
প্রতিদিন এক কাপ আমের টুকরো খেলে দৈনিক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘এ’এর শতকরা ২৫ ভাগই পূরণ হয়ে যায়। ফলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে। আম খেলে রাতকানা রোগ সহজেই প্রতিরোধ হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, টানা ১২ সপ্তাহ এক পিস করে আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
গর্ভকালীন নিয়মিত আম খেলে মায়ের শরীরের আয়রন, ভিটামিন এ, সি এবং বি৬-এর মাত্রা বাড়তে শুরু করে। এগুলো মায়ের শরীরের উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি বাচ্চার শরীরের ক্ষমতাও বাড়ায়। এ ছাড়াও, আম হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।