‘টাঙ্গাইল তাঁত ভবিষ্যতের বুনন: সমসাময়িক ফ্যাশনে ঐতিহ্যের ভূমিকা’ শিরোনামে আর্কা ফ্যাশন উইকের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেমিনারটি আয়োজিত হয়। শুক্রবার (১৪ জুন ২০২৩) বেলা সাড়ে ৩টায় শুরু হয় এটি।
সেমিনারের শুরুতে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি ইনসাইডার, হেরিটেজ টেক্সটাইল এক্সপার্ট ও হাল ফ্যাশন-এর কনসালট্যান্ট শেখ সাইফুর রহমান টাঙ্গাইল শাড়ির ইতিহাস, এর নিজস্বতা, বৈশিষ্ট্য ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারগুলো উপস্থাপন করেন।
এই উপস্থাপনার পর শুরু হয় প্যানেল ডিসকাশন। এই সভা মডেরেট করেন জীশান কিংশুক হক। ইউনেসকোর সংস্কৃতিবিষয়ক প্রোগ্রাম অফিসার কিযী তাহনিন, বাংলাদেশ তাঁতশিল্প বোর্ডের প্রকল্প প্রধান মো. আইয়ুব আলী, টাঙ্গাইল শাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক, ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) বিজিএমইএ-এর ফ্যাশন স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক শর্মিলি সরকার এবং আর্কা ফ্যাশন উইকের বিশেষ প্রদর্শনী বয়নকাব্যের কিউরেটর জুয়েল এ রব।
রঘুনাথ বসাক বসাক পরিবারগুলোর বিভিন্ন সময়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আলোচনা করেন। জানান, তন্তুবায় সম্প্রদায়ের লোক বসাকরা। ২৫০ বছর আগে টাঙ্গাইলে এই কাপড় বোনা শুরু হয়, নাম তাই টাঙ্গাইল শাড়ি। আবহাওয়ার খোঁজে তাঁতী পরিবারগুলো চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিভিন্ন এলাকা হয়ে টাঙ্গাইলে আসে। এখানে লৌহজং নদীর পার সবচেয়ে বেশি উপযোগী মনে হয়।
কিযী তাহনিন জানান ইউনেসকোর স্বীকৃতি পাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে। তাঁতশিল্পীরা চাইলেই কেবল টাঙ্গাইলকে ইন্টেঞ্জিবিল কালচারাল হেরিটেজ করার জন্য আবেদন করা যাবে। বস্ত্র সম্পর্কীয় হেরিটেজগুলো জি আই পেতে কী কী করছেন সেই আলোচনা করেন আইয়ুব আলী। টাঙ্গাইল শাড়ির মোটিফগুলো সংরক্ষণ করতে গবেষণার গুরুত্ব ও একাডেমিকদের আগ্রহ প্রয়োজন সেই বিষয় তুলে ধরেন শর্মিলি সরকার।
আর্কায় টাঙ্গাইল বয়নকাব্য নামে যে প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করেন জুয়েল এ রব। শাড়ির পাড় ও নদীর পার তার কাছে একই। আর তাঁতীদের বর্তমান জীবন ও তাদের বিভিন্ন সমস্যাগুলো তুলে ধরতেই তার এই প্রদর্শনী।
আলোচনার শেষ দিকে দর্শকবৃন্দের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বক্তাগণ।
- ক্যানভাস অনলাইন