সব পদেই আলু যোগ করা যায়। এ জন্য যে এর স্বকীয়তা নেই, তা নয়। আলুর একটি পদ পাপড়ি চাট। এর প্রধান উপাদানই আলু।
উপকরণ: পাপড়ির খামির বানানোর জন্য: ময়দা ১ কাপ, ঘি ৪ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পানি (খামির বানানোর জন্য যতটুকু প্রয়োজন) ভেজিটেবল অয়েল প্রয়োজনমতো।
পাপড়ি চাট মেশানোর জন্য: ঠান্ডা টক দই দেড় কাপ, চিনি ২ চা-চামচ, সেদ্ধ আলু কিউব করে কাটা আধা কাপ, ২-৩ ঘণ্টা ভেজানোর পর লবণ দিয়ে নরম না হওয়া পর্যন্ত সেদ্ধ করা কালো ছোলা আধা কাপ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা ও পুদিনাপাতার চাটনি ২ টেবিল চামচ, তেঁতুলের চাটনি ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, মরিচের গুঁড়া কোয়ার্টার চা-চামচ, ভাজা জিরার গুঁড়া কোয়ার্টার চা-চামচ, চাট মসলা পাউডার আধা চা-চামচ, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, নাইলন সেভ কোয়ার্টার কাপ, দারুচিনি গুঁড়া ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: ময়দা, ঘি, পেঁয়াজ ও লবণ পরিমাণমতো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার মসৃণ করে খামি বানানোর জন্য সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। হয়ে গেলে এই খামির ভেজা কাপড় দিয়ে ২০ মিনিট ঢেকে রাখুন। এবার খামিরকে সমান আয়তনে গোল করে নিন। হাতের তালু দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত করুন। একটি পরিষ্কার জায়গায় আটা দিয়ে তার ওপর গোল লেচিগুলো চাপ দিন। একটি গোলাকার পিন দিয়ে কোয়ার্টার ইঞ্চি পুরু বৃত্তাকার করে কেটে নিন। বড় বৃত্ত থেকে ছোট ছোট কুকিতে কেটে নিতে হবে কাটার দিয়ে। লেচির অতিরিক্ত খামির সরিয়ে নিতে হবে। ভাজার জন্য একটি হালকা ট্রেতে রাখতে হবে। এবার হালকা আঁচে একটি প্যানে তেল গরম করুন। গরম হলে সব কটি সোনালি আর মুচমুচে না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন। তেল সরিয়ে নিন এবং কাগজের ওপরে রাখুন। পুরো প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি ঘটান, যতক্ষণ না সব আলু পাপড়ি ভাজা শেষ হয়। এগুলো বড় কনটেইনারে কয়েক সপ্তাহের জন্য রেখেও দেওয়া যাবে।
পাপড়ি চাট একত্রকরণের জন্য: পাপড়িটি এক স্তরে একটি প্লেটে সাজান। এবার পাপড়ির ওপরে দই ও চিনি ছড়িয়ে দিন। ওপরে আলু, কালো ছোলা ও পেঁয়াজ যোগ করুন। ধনেপাতা, পুদিনাপাতা ও তেঁতুলের চাটনি দিয়ে দিন। লবণ, লালমরিচের গুঁড়া, ভাজা জিরার গুঁড়া, চাট মসলা, ধনেপাতা ও নাইলন সেভ ছড়িয়ে দিন। বেদানার দানা ছড়িয়ে ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।