করোনা দুর্যোগে সাবান, স্যানিটাইজার, ব্লিচ এবং খাদ্যসামগ্রী প্রদানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ৬৩.৭ কোটি টাকার ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছে ডাভ। এ ছাড়া আগামীতে আরও অনেক ধরনের মানবিক উদ্যাগ ও সহায়তা কার্যক্রম নেবে বলে জানিয়েছে ব্র্যান্ডটি। সংকটকালে দেশের অসহায় মানুষের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদেও সুরক্ষায় সরকারী বিভিন্ন উদ্যোগকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করছে ডাভ। সম্মুখসারির চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী এবং হাসপাতালে অনুদান হিসেবে প্রায় ৪৪.৫ লাখ টাকা মূল্যের ডাভ কেয়ার পণ্য এবং নগদ অর্থ প্রদান করছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজন মেটাতে জরুরীভিত্তিতে সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে সামাজিক উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ‘ভূমিজ’ এবং বেসরকারী সংস্থা ‘সাজিদা ফাউন্ডেশনে’র সাথে অংশীদারিত্ব করেছে ডাভ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সহ ঢাকা ও কেরানীগঞ্জে অবস্থিত সাজিদা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এসব সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। সাজিদা ফাউন্ডেশন এবং ভূমিজ-এর সহযোগিতায় তারা চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে ডাভ কিট, ডাভ প্রোডাক্টের ব্যাগ, যেখানে ডাভ মেন কেয়ার, বেবি ডাভ এবং ডাভ ডার্মাসিরিজ প্রদান করছে। সাথে ডাভ ও তার পার্টনারদেও পক্ষ থেকে একটি করে চিঠিও দেয়ার হচ্ছে, যেখানে এই সময়ে জীবন রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাবার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে।
ডাভের উদ্যোগের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক (রেসিডেন্ট নেফ্রলোজি) ডা. মেহনাজ ইসলাম মৈত্রী বলেন, “ছোট একটু ভালোবাসা বদলে দিতে পারে অনেকখানি- এই ভাবনার জন্য ইউনিলিভারকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সামগ্রিক আয়োজনের জন্য ‘ভূমিজ’কেও ধন্যবাদ। সবশেষে ধন্যবাদ জানাই আমাদের শ্রদ্ধেয় পরিচালক (ঢামেকহা) স্যারকে, তাদের ভালোবাসাটুকু আমাদের সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। আমাদের সকলের প্রচেষ্টা আর ভালোবাসায় বদলে যাক পৃথিবী।”
একই হাসপাতালের আরেকজন চিকিৎসক (রেসিডেন্ট নেফ্রলোজি) ডা. জাকিয়া ইসলাম বলেন, “করোনা মোকাবেলার সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে ইউনিলিভারের কাছ থেকে আমিও উপহার সামগ্রী পেয়েছি। আমার কাছে এটি নিছক উপহারই নয়, বরং সম্মান, কৃতজ্ঞতা এবং অনুপ্রেরণা প্রদানের মাধ্যম। ইউনিলিভারকে অশেষ ধন্যবাদ। সার্বিক আয়োজনের জন্য ‘ভূমিজ’কেও ধন্যবাদ।”
স্কুলগুলো বন্ধ থাকার এই সময়ে ডাভ সেলফ ইস্টিম প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যের অনলাইন সরঞ্জাম প্রদানের পাশাপাশি নিজস্ব রিসোর্স দিয়ে তরুণ-তরুণীদের মানসিক সুস্থতায় বাবা-মা ও অন্যান্য অভিভাবকদেরকে সহায়তা করছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, গবেষণায় দেখা গেছে- ডাভের সেলফ ইস্টিম প্রকল্পে মাত্র ৩০ মিনিট সময় ব্যয় করলেই যে কারো আত্মসম্মানের পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়। এটা তাদের সন্তানদেরও আত্মসম্মান ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও কার্যকরভাবে সহায়তা করে থাকে।
বিশ্বের অনেক তারকারাও ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডাভের গবেষণা প্রোগ্রাম এবং ডাভ সেলফ ইস্টিম প্রকল্প ব্যবহার করছেন। ২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ হওয়া বাংলাদেশী অভিনেত্রী আজমেরী হক বাধন তার ইন্সটাগ্রামে লিখেছেন, ‘#SelfEsteemAtHome সিরিজ: বাড়িতে ভালো থাকা! এই পর্বে নিজের যত্ন ও মানসিক সুস্থতার বিষয়ে গ্লোবাল ডাভ সেলফ ইস্টিম প্রকল্পের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের পাশাপাশি আমার নিজের চিন্তা-ভাবনাগুলো তুলে ধরব। এক্ষেত্রে আমার প্রতিটি কথা এবং প্রতিশ্রুতি, নিজের যত্ন নেয়া এবং নিজের মূল্য বোঝার তাৎপর্য সম্পর্কে আমার দৃঢ় বিশ্বাস থেকে উঠে এসেছে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত এবং আমরা যেমন, ঠিক সেভাবেই নিজেদেরকে ভালোবাসতে শেখা উচিত।’