ফেলনা যায় না কোনো কিছুই। এমনকি কলার খোসাও। প্রাত্যহিক জীবনে আমরা নিয়মিত না হোক, অনিয়মিতভাবে কলা খেয়েই থাকি। তারপর কলার খোসা ছুড়ে ফেলি দূরে। অনেকে আবার পথেঘাটে কলার খোসা ফেলে, যা মোটেও উচিত নয়। এতে করে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই কলার খোসা ফেলে না দিয়ে একে পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এখানে জেনে নিন কলার খোসার কিছু ব্যতিক্রমী ব্যবহার।
কলার খোসা চমৎকার জৈব সার। এতে রয়েছে পটাশিয়াম ও ফসফরাস। যা উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
বাড়িতে বাগান করেন অনেকেই। অনেক সময় শখের গাছের পাতায় ধুলাবালি জমে পাতা বিবর্ণ হয়ে যায়। তার উপর পোকামাকড়ের সংক্রমণ তো আছেই। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। পাতার উপর কলার খোসার সাদা অংশ ঘষে দিন। ধুলাবালি তো দূর হবে, পাশাপাশি পোকামাকড়ের সংক্রমণও কমবে।
ত্বকচর্চায়ও নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। এতে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল আপনার ত্বককে গভীর থেকে উজ্জ্বল ও কোমল করে তুলবে। মুখের দাগ দূর করতে কলার খোসার উপর মধু লাগিয়ে মুখে ঘষতে পারেন।
চামড়ার জুতার চাকচিক্য ফিরিয়ে আনতে কলার খোসা দিয়ে জুতা পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এতে জুতা হয়ে উঠবে নতুনের মতোই ঝকঝকে।
অনেকেই রুপার গয়না ব্যবহার করেন। রুপার গয়নার প্রধান সমস্যা হচ্ছে সেগুলো কালচে হয়ে যায়। কালচে ভাব দূর করতে কলার খোসা দিয়ে সেগুলো মুছে নিতে পারেন।
দাঁত পরিষ্কার করতেও কলার খোসার ভূমিকা আছে। প্রতিদিন সকালে কলার খোসা দিয়ে দাঁত ঘষুন। দুই সপ্তাহ এ কাজ করলে দাঁতের পরিবর্তন নিজেই টের পাবেন।