জাতীয় ফল কাঁঠাল। কথিত আছে কাঁঠাল গাছের কোনো কিছুই ফেলনা নয়। গবাদি পশুদের জন্য এর পাতা ও ফলের খোসা উপযোগী খাদ্য, কাঁচা কাঁঠাল তথা এঁচোরের রেসিপির কথা শুনলেই জিভে জল আসে। বাদ যায় না কাঁঠালের বিচিও। মাংস ও বুটের ডালের সহযোগে কাঁঠালের বিচি রান্না করলে, সে যেন এক অমৃত সৃষ্টি হয়। লতি, শুঁটকি ও কাঁঠালের বিচির তরকারির স্বাদের কোথাও জানেন অনেকে। আর কাঁঠালের বিচি ভর্তা? সে আর বলতে!
এ তো গেল স্বাদের ফিরিস্তি। কাঁঠালের বিচির পুষ্টিমানও নেহাত কম নয়। এমনকি বিউটিতেও কদর রয়েছে কাঁঠালের বিচির।
প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়: কাঁঠালের বিচিতে প্রচুর প্রোটিন থাকে, যা দেহে প্রোটিনের চাহিদা মেটায়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে: নিয়মিত কাঁঠালের বিচি খাওয়া শুরু করুন। বিচিতে থাকা ফাইবার ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ত্বকের ভেতরে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বের করে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও উপযোগী কাঁঠালের বীজ।
সংক্রমণের আশঙ্কা কমায়: কাঁঠালের বিচিতে থাকে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান জীবাণুদের দূরে রাখার মধ্যে দিয়ে নানাবিধ ফুড-বন এবং ওয়াটার বন ডিজিজের প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
ক্যানসার থেকে দূরে রাখে: নিয়মিত কাঁঠালের বিচি খেলে শরীরের ভেতর শক্তিশালী ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ক্যানসার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
বলিরেখা কমায়: কাঁঠালের বিচি গুঁড়া করে নিন। অল্প পরিমাণ দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ফেলুন। পেস্টটি প্রতিদিন মুখে লাগালে বলিরেখা দূর হয়।
অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমে: অ্যানিমিয়ায় রোগীর অবস্থার পরিবর্তনে কাঁঠালের বিচি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এর বিচিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা খুব অল্প দিনেই রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
হজমশক্তি বাড়ায়: কাঁঠালের বিচি রোদে শুকিয়ে, বেটে নিয়ে গুঁড়া খেতে পারেন। এ গুঁড়া খেলে বদহজম এবং গ্যাস-অম্বল সমস্যা কমে যায়।
বিষণ্নতা দূর করে: কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় উপকারী মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যা মস্তিষ্কের কেমিকেল ব্যালান্স ঠিক রেখে বিষণ্নতা কমায়।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে: কাঁঠালের বিচিতে থাকা ভিটামিন এ, দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি চোখের আরও অনেক সমস্যাকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।