কিউরিয়াস-এ শুরু হয়েছে ‘উইন্টার এক্সিবিশন’। কাঁথা ফোঁড়ের ঐকতান ও উপরকণের অলংকৃত সুরিয়েরিজম নিয়ে বনানীতে ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার, প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটে শুরু হয়েছে প্রশর্দনীটি। চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তাদের কিউ গ্যালারীতে চোখে পড়বে পোশাক ও গয়না।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী, একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, কিউরিয়াসের পরিচালক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারপারসন।
মিট দ্য প্রেস পর্বটি সঞ্চালনা করেন এই প্রদর্শনীর কিউরেটর, ডিজাইনার চন্দ্র শেখর সাহা। তিনি বলেন, ‘যে দাদিকে শিশু দেখেনি, কিন্তু তাঁর বোনা সোয়েটার শরীরে চাপিয়ে বড় হয়েছে। এই যে একজন আরেক মানুষের স্নেহের স্পর্শ গায়ে জড়িয়ে চলেছে পোশাকের আজকের কালেকশন সেটিকে উদযাপন করার প্রয়াস মাত্র। আর যেগুলোকে আপনারা গয়নারূপে দেখছেন, এর উপকরণগুলোকে আমরা বীজ, মেটাল, কাপড়, কাঠরূপে পরে থাকতে দেখি। কিন্তু কখনো সেগুলোকে গয়না হিসেবে কল্পনা করি না। আমাদের এই গয়নার কালেকশন তাই অলক্ষ্যে পড়ে থাকা টুকরো বাস্তবতা আর স্বপ্নের সম্মিলন।’
প্রদর্শনীটিতে গুরুত্ব পেয়েছে বৈশ্বিক উষষ্ণতা বৃদ্ধি, জয়বায়ু পরিবর্তন এবং তারই পরিপ্রেক্ষিত পোশাকশিল্প ও ফ্যাশন দুনিয়ার দায়িত্বশীলতা। পুরো প্রদর্শনীকে ভাগ করা হয়েছে দুইভাবে। এক- কাঁথা ফোঁড়ের ঐক্যতার এবং অন্যটি উপকরণের অলংকৃত সুরিয়েলিজম।
কাথা ফোড়ের ঐক্যতার: প্রদর্শনীর এই অংশে ছিল নকশীকাথা ফোড়ের বর্ণিল সারফেস ও বাটনস্টিচের সুরেলা বর্ডার। ছিল লাইনিং এর প্রিন্ট ডিজাইনে শিল্পীর নিপুণ ড্রয়িং। পুরুষ ও মহিলাদের দুটি আলাদা কালেকশন ও উপস্থাপিত হয়েছে প্রদর্শনীতে।
উপকরণের অলংকৃত সুরিয়েলিজম: কিউরিয়াস তার পৃষ্ঠপোষকদের জন্য গহনার নতুন ভাবনা নিয়ে এসেছে। উপস্থাপন করেছে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সম্পর্কিত সময় ও ভাবনার বৈচিত্র। যাপিত জীবনের প্রয়োজন ও স্বপ্নবিলাসের তাগিদে কিউরিয়াসের ডিজাইন স্টুডিও অভিজ্ঞতা, নান্দনিকতা ও সৃজনশীলতার অনুভব থেকে প্রদর্শনীর গহনার ভাবরূপ সৃজনে প্রয়াসী হয়েছে এবারের আয়োজনে।