আপনি যখন বাড়িতে বসে খাবারের অপচয় করছেন, ঠিক তখনই বিশ্বের কোথাও না কোথাও কেউ অনাহারে ভুগছে। কোনো একটা সময় প্লেটের সব খাবার খেয়ে উঠতে না পারা কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয়, তা সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু খাবার অপচয় করা যদি কারও অভ্যাসে পরিণত হয়, সেটি মোটেও ভালো কোনো বিষয় নয়। অপচয়ের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর ৩.৭ ট্রিলিয়ন আপেল নষ্ট হয়। একইভাবে অপচয় হয় অন্যান্য খাদ্যশস্যও। তা ছাড়া দুর্মূল্যের এ বাজারে খাবার নষ্ট করা পাপের সমতুল্য। কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকলে খাবার অপচয় রোধ করতে পারেন। যেমন-
বাজারে যাওয়ার আগে ফ্রিজ চেক করা: বাজার করার আগে ফ্রিজ খুলে দেখে নিন কোন কোন জিনিস কী পরিমাণে আছে। তারপর প্রয়োজন অনুসারে বাজার করুন। এতে করে কোনো জিনিস কেনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব হবে। এ ছাড়া বাজারে যাওয়ার আগে তালিকা তৈরি করে নিন। কোন জিনিস কী পরিমাণে কিনতে হবে, সেটা টুকে রাখুন। আর বাজার করার সময় দোকানের হরেক রকম জিনিস দেখে প্রলুব্ধ না হয়ে যা আপনার প্রয়োজন সেটাই কিনুন।
খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ নষ্ট না করা: অনেক সময় দুপুরের কিছু খাবার বেঁচে যায়। সেই খাবার রাতে খেয়ে নিন। দুপুরের খাবার রাতে খেতে ভালো না লাগলে সস বা অন্য কোনো সহপদের মিশ্রণে খাবারটি রিপেয়ার করে নিতে পারেন।
সঠিকভাবে খাবার সংরক্ষণ করা: ফল বা সবজি ফ্রিজে রাখুন। এ ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি মেনে ফ্রিজে রাখুন যাতে সেগুলো দীর্ঘদিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
হাতের নাগালেই খাদ্য রাখতে হবে: প্রয়োজনীয় খাবার চোখের সামনেই রাখতে হবে। অনেক সময় খাবার আড়ালে থাকার কারণে সেই খাবার নষ্ট হয়ে যায়। ফলে খাবারের অপচয় ঘটে।
মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ খেয়াল রাখা: খাবারের মেয়াদ কবে শেষ হবে সেদিকে খেয়াল রাখুন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই খেয়ে শেষ করুন যাতে করে খাবারের অপচয় না ঘটে।