মেকআপ ট্রেন্ড সময়ের সাথে সাথে বদলায়। তরুণী বয়সে যেভাবে মেকআপ করতেন, বয়স চল্লিশ হলে একইভাবে করলে হবে না। বয়স চল্লিশ কিংবা তার বেশি হয়ে গেলে সাজগোজের সময় কিছু ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে। আজকের মেকআপ ট্রিকস চল্লিশের নারীদের জন্য।
পাউডারকে না, ফাউন্ডেশনকে হ্যাঁ
পাউডার আপনার ত্বকে অনেক বেশি খসখসে ভাব আনে। এতে আপনার ত্বক হয়ে যায় বিবর্ণ। তাই পাউডার ব্যবহার না করে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। তবে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে এর উপর পাউডার লাগাবেন না। ফাউন্ডেশনটি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
স্কিন টোনের সাথে মিলিয়ে লিপ কালার
গায়ের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে এমন একটি রঙ বাছাই করুন, যে রঙটি ঠোঁটে লাগালে মানানসই হবে। এই বয়সে ডিপ রেড, পার্পল এবং ব্রাউন রঙের লিপস্টিক এড়িয়ে চলুন। এইগুলো ব্যবহার করলে মনে হবে আপনি বুড়িয়ে গেছেন।
ব্লাশ ব্যবহার করুন সঠিক জায়গায়
নিজের চেহারাকে চিকন দেখানোর জন্য অনেক নারীই ডার্ক ব্লাশ অথবা ব্রোঞ্জার গালে ব্যবহার করেন। এর ফলে আদতে তাদের বিবর্ণ ও মেকি দেখায়। তাই মুখের এরকম জায়গায় ব্লাশ ব্যবহার করুন সেই জায়গাটি আসলে ন্যাচারালি ব্লাশ করে।
নিচের পাপড়িতে আইলাইনার নয়
চোখের নিচের পাপড়িতে আইলাইনার লাগালে আপনার চোখ ছোট দেখায়। মনে হবে নিচে নেমে আসছে এবং সবমিলিয়ে আপনাকে বুড়ি দেখায়। তাই শুধু চোখের উপরের পাপড়িতে আইলাইনার ব্যবহার করুন। তবে বেশি ঘন করে লাগাবেন না।
লিপলাইনার ঠোঁটের রঙের সাথে মিলিয়ে
বয়সের সাথে সাথে আপনার ঠোঁটের লাইনটা মুছে যেতে শুরু করবে। এর ফলে লিপস্টিক ব্যবহার করলে লিপস্টিক ঠোঁটে টিকে থাকে না। তাই আপনার ঠোঁটের ন্যাচারাল কালারের সাথে মিলিয়ে লিপলাইনার ব্যবহার করে ঠোঁটের সীমানা ঠিক করে নিন।
ভরাট করে দিন চিকন ভ্রু
এই বয়সে চুলপড়া শুরু হওয়ার ফলে আপনার ভ্রু চিকন হয়ে পড়ে। চিকন ভ্রু থাকলে আপনাকে বয়স্ক দেখাবে। তাই একটি পেনসিল ব্রাশ দিয়ে ভ্রুগুলোকে ভরাট করে দিন। ভরাট করার সময় ভ্রুর রঙের সাথে মিলিয়ে পেনসিলের রঙ ঠিক করুন।
ব্যবহার করুন প্রাইমার
চল্লিশে আপনার ত্বকে অনেক ব্রণ আর দাগ দেখা যেতে পারে। তাই মেকআপ করার সময় ভালো মানের প্রাইমার ব্যবহার করুন। প্রাইমার ব্যবহার করলে আপনার ত্বকে একটি স্মুথ বেস তৈরি করবে এবং এতে আপনার মেকআপটি অনেকক্ষণ থাকবে। এটি আপনার মুখের বলিরেখাগুলো কম দেখাতে সাহায্য করবে।
অতিরিক্তকে না বলুন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ হলো বেশি মেকআপ ব্যবহার না করা। চল্লিশ কিংবা চল্লিশোর্ধ অনেকেই আছেন তারা নিজেদের সুন্দর করে উপস্থাপন করতে গিয়ে অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহার করে ফেলেন। অনেক কসমেটিক বিশেষজ্ঞই একথার সাথে একমত হয়েছেন যে, সুখে থাকাই হচ্ছে সবচেয়ে ভালো কসমেটিকস। তাই নিজের ব্যক্তিত্ব আর আনন্দ নিয়ে মানুষের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করুন। সবাই আপনাকে পছন্দ করবে।