সৌদি আরবের নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর দীর্ঘ সময় ধরে বহাল থাকা নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। ২৪ জুন নতুন আইন কার্যকর হয়েছে, যাতে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি নারীরা চালকের আসনে বসতে পারবেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। আর চলতি মাসের শুরু থেকেই নারীদের লাইসেন্স দেওয়া শুরু হয়। সৌদি আরবই একমাত্র দেশ ছিল, যেখানে নারীরা গাড়ি চালাতে পারতেন না।
নতুন এই আইনকে ব্যবসায়িক সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করছে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রাথমিকভাবে ৯০ লাখ সৌদি নারীকে তাদের গ্রাহক বানানোর পরিকল্পনা করেছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সৌদি আরব বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ির বাজারে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
বেশ কিছুদিন ধরেই সৌদি নারীদের গাড়ির প্রতি আকৃষ্ট করতে নানা ধরণের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো। এই ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে, নারীদের অনুভূতি এবং আবেগকে। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, নারীদের গাড়ি কেনায় আকৃষ্ট করতে গিয়ে অতিমাত্রায় নারীবাদী রীতিনীতি প্রচার করা হচ্ছে, যা সৌদি আরবে রীতি-নীতির পরিপন্থী।
মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সৌদি আরবে বিস্তৃত পরিসরে সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে, বিশেষ করে পুরুষ অভিভাবকের কাছে নারীদের অধীন করে রাখার ক্ষেত্রে।
সৗদি টিভি উপস্থাপক সাবিকা আল-দোসারি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘প্রত্যেক সৌদি নারীর জন্য এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
এখন সৌদি নারীরা গাড়ি চালাতে পারবেন। তবে এখনো তারা ভ্রমণ, বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ ইত্যাদি পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া করতে পারেন না।
এদিকে, এরই মধ্যে কিছু পুরুষ নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আরবি ভাষায় তারা ‘তুমি গাড়ি চালাবে না’ হ্যাশট্যাগ লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।