শর্করার উৎস চিনি যা আমাদের শক্তি জোগায়। তবে বেশি চিনি খেলে ডায়াবেটিস, স্থূলতা, লিভারের ক্ষতি হয়, শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় চক্রের ক্ষতি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনি একেবারে ছেড়ে দেওয়া যাবে না আবার অতিমাত্রায় খাওয়াও যাবে না। চিনি খাবারকে সুস্বাদু করে। তবে পরিশোধিত চিনি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। পরিশোধিত চিনি ছেড়ে প্রাকৃতিক চিনি খাওয়ার প্রতি জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, চিনিতে কোনো ভিটামিন থাকে না। এটি শুধু আমাদের ক্যালরি জোগায়। শরীরকে কর্মক্ষম রাখে। চিনি দাঁতের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এর কারণে দাঁতে ব্যথা ও শিরশির অনুভূতি হয় এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মুখে প্রবেশ করে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে লিভারে সমস্যা হয় ও ফ্যাটি লিভার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
চিনিতে অতিরিক্ত ‘আসক্তি’ রয়েছে তাই সহজে চিনি ছেড়ে দেওয়া যায় না।
সাদা চিনি না খেয়ে মধু অথবা প্রাকৃতিক চিনি ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি আম, তাল, আপেল, স্ট্রবেরি, চেরি, আখ, খেজুর এই ফলগুলো খাওয়া যেতে পারে। এসব ফলে থাকে প্রদাহবিনাশী পদার্থ যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে দেয় না। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কেউ চিনি ছাড়তে চাইলে পরিশোধিত বা সাধা চিনি ছাড়ুন। বিনিময়ে গ্রহণ করুন উক্ত ফলগুলো অথবা প্রাকৃতিক চিনি। কারণ, শরীর সুস্থ রাখতে চিনির প্রয়োজন আছে।