সারা দিনের কর্মব্যস্ততার পর এক কাপ গরম কফিই এনে দিতে পারে শরীর ও মনে চাঙা ভাব। মাঠহীন এ নগরীর তরুণ-তরুণীরা একটু দম ফেলার জন্য ভিড় জমান কফি হাউজগুলোয়। চা পান করতে করতে বাঙালি জাতি ঠিক কখন যে কফিপ্রেমী হয়ে উঠেছে, তা কেউই টের পায়নি। ধীরে ধীরে যেন চায়ের জায়গা দখল করে নিয়েছে কফি।
রাজধানীর অলিগলিতে এখন কফিঘর। কফি মিলে যাচ্ছে আমাদের সংস্কৃতিতে। তবে কফি যে নিছক ক্লান্তিহরা একটি পানীয়, তা কিন্তু নয়। রূপচর্চাতেও রয়েছে এর ব্যবহার, বিশেষ করে চুল পড়া রোধ করে চুলে ঝলমলে ভাব আনতে। নিয়মিত কফির হেয়ার প্যাক ব্যবহার করে করলে নিশ্চিত হতে পারে চুলের বৃদ্ধি। কিন্তু চুলের যত্নে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে কফি? চলুন, জেনে নিই।
পদ্ধতি ১. এক টেবিল চামচ কফি পাউডারের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগিয়ে আধা ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কফি গরম পানিতে মিশিয়ে ঠান্ডা করে আবারও চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এ কাজ করলে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হওয়ার পাশাপাশি চুলে আসবে ঝলমলে ভাব।
পদ্ধতি ২. কফি পাউডারের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে গরম করে নিন। এ মিশ্রণ চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ঘষুন। এটি করলে চুলের গোড়ার রক্তসঞ্চালন বাড়াবে। ফলে চুল দ্রুত বাড়বে।
পদ্ধতি ৩. কন্ডিশনারের সঙ্গে কফি পাউডার মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। এ হেয়ার প্যাক মাথার ত্বকের মরা চামড়া দূর করবে। কিছুক্ষণ পরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।
পদ্ধতি ৪. গরম পানিতে কফি মিশিয়ে ঠান্ডা করে নিন। তারপর এক টেবিল চামচ কফি লিকারের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ হেয়ার কন্ডিশনার মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে চুল ফেলুন। এতে করে চুল কালো হবে।
পদ্ধতি ৫. দুই টেবিল চামচ কফি পাউডারের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগান। তারপর এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এতে করে চুল হবে উজ্জ্বল, কালো ও ঝলমলে।