নিমের গুণের কথা আর কী বলব। আপাদমস্তকই এ গাছটি যেন একটি দাওয়াইখানা। এর শিকড়-বাকড় থেকে শুরু করে পাতা পর্যন্তও মানুষের উপকারে আসে। কফজনিত বুকের ব্যথা, কৃমি, অজীর্ণ, খোসপাঁচড়া, পোকামাকড়ের কামড়, দাঁতের রোগ, জন্মনিয়ন্ত্রণ, ব্লাড সুগারের নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও ত্বকচর্চায় বিশেষ করে চুলের যত্নে নিমের পাতা খুব উপকারে আসে। সে ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিমপাতা মিহিভাবে বেটে নিন। বাটা নিমের সঙ্গে আধা কাপ নারকেল তেল মিশিয়ে গরম করে নিন। সেই তেলে তিন টেবিল চামচ মেথি বীজ দিয়ে আরও মিনিট পাঁচেক মৃদু তাপে রেখে দিন। তারপর নামিয়ে ঠান্ডা করার জন্য রেখে দিন। এতে করে তেল ও বাড়তি উপাদান পৃথক হয়ে যাবে। তারপর তেল আলাদা করে একটি পাত্রে সংরক্ষণ করুন।
নিমের তেল মাথার ত্বকের যেকোনো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে মাথার ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে নিমের তেল। তা ছাড়া এ তেল মাথার ত্বকের মাইক্রোবায়াল সংক্রমণ দূর করতে সহায়তা করে।
চুল পড়া বন্ধেও আছে নিমের ভূমিকা। সপ্তাহে অন্তত এক দিন নিমপাতা মিহি করে বেটে মাথায় মেখে ঘণ্টাখানেক রেখে দিন। তারপর চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল পড়া রোধ হওয়ার পাশাপাশি চুল নরম হবে।
খুশকি ও উকুন দূর করতে এক চামচ আমলকীর রস, এক চা চামচ নিমপাতার রস, এ চা চামচ লেবুর রস ও প্রয়োজনমতো টক দই মিশিয়ে সপ্তাহে দুদিন চুলে লাগিয়ে আধঘণ্টা রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি ও উকুন দূর হয়ে যাবে।