এই দেশের বড় একটি অংশ মানুষের ছুটির দিন শুক্রবার। সাপ্তাহিক ছুটি হিসেবে বিবেচিত হয় দিনটি। বাকি ছয় দিন যেহেতু সকাল-সন্ধ্যা কর্মক্ষেত্রেই কেটে যায়, তাই এদিন ঘিরে নানান রকম পরিকল্পনা থাকে।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্যমতে, এমন ১৪টি কাজ রয়েছে, যেগুলোর এক বা একাধিকটি স্থান পেয়ে থাকে সফল মানুষদের উইকেন্ডে।
এই তালিকার প্রথমেই আছে পরিবারের সাথে সময় কাটানো। যারা কাজের কারনে ব্যস্ত সময় কাটান, পরিবারের সাথে তারা পর্যাপ্ত সময় কাটাতে পারেন না। এর প্রভাব পরে নিজের এবং কাছের মানুষদের উপরে। তাই ছুটির দিনে সবাই একসাথে সময় কাটানোর চেষ্টা থাকে।
দ্বিতীয়তে আছে এক্সারসাইজ। এখানে প্রতিদিন সময় দেওয়া প্রয়োজন, কিন্তু অনেকে ডেইলি রুটিনে চাইলেও সে সময় করতে পারেন না। তাই কর্মব্যস্ততার অল্পতায় সুস্বাস্থ্যে নজর দেওয়া।
নিজের ইচ্ছা ও শখকে প্রাধান্য দিয়ে এ দিনগুলোর একটি নির্দিষ্ট সময় কাটানোর কথা জানা যায়। দেখা যায় আকাঙ্ক্ষিত কোন কোর্স করতে অথবা ডিগ্রি অর্জনের জন্য পড়াশোনা করতে। আবার কেউ কেউ ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পরেন। কারো হাতে দেখা যায় গিটার। কেউ বসেন পিয়ানোতে।
অফিস নেই– এমন দিনগুলোতে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন অনেকে। তারা পুরো সপ্তাহ অপেক্ষা করেন কর্মব্যস্ততাকে ছুটি দিতে। তারপরে ভ্রমণে। আকাঙ্ক্ষিত ছুটি কম সময়ের হলে শর্ট ট্রিপ-ই সই।
দিনের একটি সময় যোগাযোগহীনতায় কাটাতে চেষ্টা করেন অনেকে। সারা দিনের জন্যে ফোন বন্ধ করে দেয়া নয়, কিছুক্ষনের জন্যে। মর্নিং ওয়াক টাইমে অথবা বিকেলের এক কাপ চা হাতে নিজের সাথে হারিয়ে যেতে যেতে। অফিসিয়াল ইমেইল, কল থেকে বিরতি।
ভলেন্টিয়ারি কাজে যুক্ত থেকে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসতে চান যারা, ছুটির দিন তাদের জন্যে বেস্ট অপশন বলা যেতে পারে। মানুষের মুখের হাসি তাদের মন ভরিয়ে দেয়। উৎসাহ পান নতুন সপ্তাহের কাজে মন দেওয়ার ।
সংসারের কাজ দ্রুত শেষ করে বাকি দিন আর সে নিয়ে ভাবনা না ভেবে কাটিয়ে দেন এমন মানুষের কথা জানা গেছে। কিচেন ওয়ার্ক, লন্ড্রি, ক্লিনিং সব কিছুকে তাড়াতাড়ি বিদায় দিয়ে দিনটি আস্বাদন।
পরবর্তী সপ্তাহের পরিকল্পনা করে সপ্তাহটির বাকি দিন গুছিয়ে নেন এমন মানুষও আছে।
কিছু মানুষ সামাজিক সম্পর্কগুলিকে সময় দেন। বাকি দিনগুলোতে সম্পর্ক পুনরায় চাঙ্গা করার রেশ থেকে যায়। প্রশান্ত হয় মন।
বাগান করতে ভালবাসেন যারা, এদিনে সবুজ স্পর্শ করেন তারা। এর বাইরে খেলা, রান্না, সংস্কৃতিতে মনোযোগ দিতেও দেখা যায়। এক কথায় শখের কাজে সময় ব্যয়।
নেটওয়ার্কিং এখন পরিচিত শব্দ। শুধু মাত্র অফিস মিটিং, জব সেমিনারেই যে নেটওয়ার্ক তৈরি হয় তা কিন্তু না। এসব দিনে সোশ্যাল গ্যাদারিং, এক্সিবিশন, দাওয়াত সুযোগ করে দেয় অপরকে জানার, জানানোর।
নিজের অর্জন নিয়ে নিজে চিন্তা করার সময় পুরো সপ্তাহ কমই পাওয়া যায়। এমন দিন গুলিকে বেছে নিয়ে নিজেকে নতুন ভাবে উৎসাহিত করেন অনেকে।
মেডিটেশন মন শান্ত করে। শারীরিক সুস্থতাতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। তাই মনের সাথে সময় কাটানোতে আগ্রহ দেখা যায়।
ডেডলাইনহীন দিনে নিজেকে নতুন করে প্রস্তুত করতে কাজ করেন সফল মানুষেরা। স্মৃতি তাদের অনুপ্রেরণা হয়ে সাথে থাকে।
সাফল্যের শিখর স্পর্শ করেছেন যারা তাদের উইকেন্ড রুটিনের মতো করে নিজের ছুটির দিনগুলোও পরিকল্পনা করে নিলে সুন্দর হতে পারে দিনগুলো।
- সারাহ্/ ক্যানভাস অনলাইন