একটু বয়স বাড়লেই বয়সের ছাপ প্রত্যেকের চেহারাতেই পড়ে। বয়স যত বাড়তে থাকে, চেহারায় তার প্রভাব এড়ানো যায় না। তবে কারও কারও চেহারায় বয়সের ছাপ তাড়াতাড়ি পড়ে, আবার কেউ চল্লিশেও বিশ বছর বয়সের উজ্জ্বলতা ধরে রাখেন। অল্প বয়সে খুব বেশি চেহারার যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু বয়স ৩০-এর ঘরে পৌঁছালেই নিজের খেয়াল রাখার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়। এই সময় নারীরা কর্মজীবী হোন বা গৃহবধূ, অত্যন্ত ব্যস্ত থাকেন। অফিস, ঘর সামলায়ে নিজেদের দিকে নজর দেওয়ার সময় খুব একটা পাওয়া যায় না। বয়স ৩০-এর ঘরের নারীদের জন্য কয়েকটা পরামর্শ দেয়া হলো-
৩০ বছর বয়স একেবারে কম নয়। এই বয়সে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা এমনিতেই কমে যায়। তাই ফেসওয়াশ ত্বকের ওপর কড়া হতে পারে। মুখ পরিষ্কার করতে হালকা কোনও ক্লিনজার ব্যবহার করাই ভালো।
ত্বকে শুধু ময়েশ্চারাইজার নয়, লাগান স্কিন সিরাম। ভিটামিন সি আছে এরকম সিরাম বেছে নিন। এটি ওপেন পোর এবং পিগমেন্টেশনের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।
এই বয়সে আপনি যদি সদ্য মা হয়ে থাকেন, আর মা হওয়ার পর ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়; তবে ত্বকের পিএইচ ব্যাল্যান্স ঠিক রাখতে বিনা অ্যালকোহলের টোনার বেছে নিন।
রাতে আমাদের সঙ্গে ত্বকও ঘুমোয়। এই সময় ত্বকের পুষ্টি জোগানো প্রয়োজন। তাই রাতে শোওয়ার আগে ভালো কোনো নাইট ক্রিম অবশ্যই ব্যবহার করুন।
যদি আপনার চোখের চারপাশের চামড়া ঢিলা হয়, এই সময় চোখের নীচে প্রথম বলিরেখা পড়তে শুরু করে; তবে আন্ডার ক্রিম ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
স্কিনকেয়ার রুটিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো সানস্ক্রিন। ক্ষতিকর সূর্যালোক ত্বকের বারোটা বাজিয়ে দেয়। তাই দিনের বেলা অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাবেন।