ক্যানভাস রিপোর্ট
ঢাকা ক্লাসিক্স একটি নতুন মিউজিক্যাল ফাউন্ডেশন। ২৬ ফেব্রুয়ারি এক ঘোষণার মাধ্যমে পশ্চিমা শাস্ত্রীয়, জ্যাজ ও ঐতিহ্যবাহী বাংলা সঙ্গীত প্রচারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরুর কথা জানায়। ফাউন্ডেশনটি একটি অলাভজনক সংস্থা। এর মূল লক্ষ্য স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সঙ্গীতশিল্পীদের প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা এবং বাংলাদেশের সঙ্গীতপ্রেমীদের মানসম্পন্ন সঙ্গীত পরিবেশনা প্রদান করা।
ফাউন্ডেশনটি ইন্সট্রুমেন্টাল ঘরানার সংরক্ষণ ও প্রচারের পাশাপাশি সঙ্গীতশিল্পীদের জন্য প্রতিভার বিকাশ ও উন্নতির জন্য প্লাটফরম হিসেবে কাজ করে যাবে।
মিট দ্য প্রেস ইভেন্টে শুরুতেই ফাউন্ডেশনের ইতিহাস এবং লক্ষ্য নিয়ে আলোকপাত করা হয়। এরপরে ছিল কেলি টেলর ও অতিথি শিল্পী নীল মুখার্জির সংগীত পরিবেশনা। গুলশানের এক অভিজাত আবাসিক এলাকায় ইভেন্টটিতে উপস্থিতদের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার জন্য এবং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ সম্পর্কে আরও জানতে একটি প্রশ্নোত্তর সেশন আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন নানা দেশের কূটনীতিক, উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা, শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেট ব্যাক্তিত্ব, সমাজসেবী, সেলিব্রিটি, প্রভাবশালী মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব।
ঢাকা ক্লাসিকস এমন ব্যক্তি ও সংস্থার অনুদান, স্পনসরশিপ ও অবদানকে স্বাগত জানায় যাদের সঙ্গীতের প্রতি তাদের আবেগ আছে। সেইসাথে এই গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গীতের ঘরানার প্রচার ও সংরক্ষণের প্রতি যারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ফাউন্ডেশনের যোগাযোগ ও পাবলিক ইমেজ চেয়ার হিসেবে কাজ করা মিডিয়ার মুখপাত্র মিস সানজানা বলেন, “ঢাকা ক্লাসিকের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রেস এবং জনসাধারণের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
“আমরা বিশ্বাস করি যে পশ্চিমা শাস্ত্রীয়, জ্যাজ এবং বাংলা সঙ্গীত হল গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক সম্পদ যা উদযাপন ও সংরক্ষণ করা উচিত। আমরা এমন ব্যক্তি এবং সংস্থার সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি যারা এই মিজিক ঘরানার প্রতি আমাদের আবেগ এবং প্রতিশ্রুতি প্রচারে সাহায্য করবেন।” সঙ্গীত পরিচালক মিস টেলর বলেছেন।
বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচারের লক্ষ্যে এই ফাউন্ডেশন শিখতে আগ্রহী সংগীতশিল্পী ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শিখতে এবং দক্ষতা বিকাশের জন্য আবৃত্তি, মাস্টার ক্লাসের সুযোগ করে দিবে। ঢাকা ক্লাসিকস আসন্ন মাসগুলিতে ইভেন্টগুলির একটি চিত্তাকর্ষক লাইন আপ পরিকল্পনা করে রেখেছে।
ঢাকা ক্লাসিকস দেশ-বিদেশে পশ্চিমা শাস্ত্রীয়, জ্যাজ ও ঐতিহ্যবাহী বাংলা সঙ্গীত প্রচারের জন্য তাদের মিশনে যুক্ত হতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।