তেতো খাবারের কথা শুনলেই অনেকে নাক সিটকায়। কিন্তু অনেকেই আবার খুব মজা করে খায়। বলছি তেতো সবজি করলার কথা। যতো তেতোই হোক, এর মধ্যে আছে তারুণ্য ধরে রাখার রসদ। এমন কথাই বলেছেন পুষ্টিবিদেরা।
তারা জানিয়েছেন, প্রতি ১০০ গ্রাম করলায় আছে ২৮ কিলোক্যালরি, ৯২ দশমিক ২ গ্রাম জলীয় অংশ, ৪ দশমিক ৩ গ্রাম শর্করা, ২ দশমিক ৫ গ্রাম আমিষ, ১৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১ দশমিক ৮ মিলিগ্রাম লৌহ ও ৬৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
বর্তমানে তেতো এ সবজি দিয়ে তৈরি হচ্ছে চা। করলার চা তৈরিতে এর পাতা, ফল ব্যবহার করা হয়। এ চা বানাবেন কীভাবে?
করলার টুকরো, পানি ও মিষ্টির স্বাদের জন্য মধু নিন। ফুটন্ত পানিতে করলার টুকরো দিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে আবারও ফুটিয়ে নিন হবে। আঁচ থেকে নামিয়ে আরও কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। তারপর কাপে চা ছেঁকে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। এ চায়ে আছে কিছু স্বাস্থ্যগুণ। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: বহুকাল আগে থেকেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে করলা ব্যবহার হয়ে আসছে। করলার চা-ও এ ক্ষেত্রে উপকারী।
কোলেস্টেরল কমাতে: করলার চা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখে। করলা উচ্চ রক্তচাপ ও চর্বি কমায়। এ ছাড়া তেতো রস কৃমিনাশক। এটি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। করলা মানবদেহে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে শরীরে রক্তের উপাদান বাড়ায়।
লিভার পরিষ্কার রাখে: করলার চা লিভার পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি বদহজম রোধ করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা থাকলে নিয়মিত করলার চা পান করতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে: এ চায়ে ভিটামিন সি বিদ্যমান, যা শরীরকে সংক্রমণের হাত থেকে সুরক্ষা দেয়। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় করলা চা। করলার চা চুল ভালো রাখে এবং ম্যালেরিয়া জ্বরে স্বস্তি দেয়। মাথাব্যথা দূর করতেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে এ চা।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে: করলা চায়ে ভিটামিন এ আছে, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। করলার সবচেয়ে বড় গুণ এটি বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।