কিছু কিছু মসলা ব্যবহার করা হয় ঠিকই কিন্তু খাওয়ার সময় ফেলে দিতে হয়। তেমনি একটি মসলা হচ্ছে তেজপাতা। তেজপাতা ছাড়া গুরুপাক যেন কল্পনা করা যায় না। আবার রঙ চায়ে আছে এর উপস্থিতি। অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জাগে- ফেলেই যদি দেওয়া হবে, তাহলে রান্নায় এর ব্যবহার কেন? ব্যবহৃত হয় এর সুগন্ধির জন্য। তা ছাড়া এতে বেশ কিছু ঔষধিগুণ আছে। তাই তেজপাতাকে আমরা যতটা অবহেলা করি, ততটা অবহেলা করার কোনো কারণ নেই। চলুন, জেনে নিই এর ঔষধিগুণ সম্পর্কে।
তেজপাতা শরীরে মেটাবলিজমের মাত্রা বাড়ায় এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এটি ওজন কমাতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। তা ছাড়া এটিত পেট ফাঁপা, বদহজম, বুকে জ্বালাপোড়াও কমায়। এটি রুচিবর্ধক হিসেবেও কাজ করে।
তেজপাতায় আছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। এ উপাদান হৃদপিণ্ডের ইনফেকশন কমায়। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। তেজপাতা সেদ্ধ করে সেই পানি পান করলে অথবা তেজপাতা বেটে বুকে মালিশ করলে সর্দি কাশি, কফ ও ফ্লু সমস্যা দূর হয়।
ব্যথা উপশমেও কাজে আসে তেজপাতা। আঘাত পেয়ে ফুলে গেলে ফোলা অংশে তেজপাতার তেল মালিশ করুন, ভালো ফল পাবেন। মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করতেও কাজ করে তেজপাতার তেল।
রূপচর্চায়ও ব্যবহার হয় তেজপাতা। চন্দন যোগে তেজপাতা বেটে ত্বকে ঘণ্টাখানেক মেখে রাখুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ হবে। গায়ে দুর্গন্ধ থাকলেও দূর হয়ে যাবে।