রপ্তানি আয়ে তৈরি পোশাকের অবদান বরাবরই উল্লেখযোগ্য। এ অর্থবছরেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সার্বিক রপ্তানি আয় সাড়ে ৬ শতাংশ বাড়লেও তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এই খাতে আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ। অর্থবছর শেষে পোশাক রপ্তানি ৩০ বিলিয়ন (৩ হাজার কোটি) ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন রপ্তানিকারকেরা।
তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরো অঞ্চলের অর্থনীতিতে নতুন গতি আসায় বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আগামী দিনগুলোতে রপ্তানি আয় আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭ সালে বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছে। বিশেষ করে আমাদের রপ্তানি-বাণিজ্যের মূল গন্তব্য তথা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরো অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বাড়ায় রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে।’
‘আশার কথা হলো, উদীয়মান ও উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি যেহেতু ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেহেতু সামনের দিনগুলোতে আমাদের রপ্তানি খাত আরও গতিশীল হবে।’ এ ছাড়া টাকার বিপরীতে ডলারের দরবৃদ্ধি রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে অবদান রাখছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।