আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হয়ে গেল দেশীদশ-এর দশটি কো-ব্র্যান্ডের। কো-ব্র্যান্ড নিয়ে অনেক আগে থেকেই কার্যক্রম শুরু করলেও ৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের লেভেল সাতে দেশীদশের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বিষয়টিকে জনসাধারণের কাছে প্রকাশ্যে আনেন দেশীদশের প্রতিনিধিরা। এ সময় দেশীদশের দশটি ফ্যাশন হাউজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রযুক্তির অগ্রগতিতে আন্তর্জাতিক ফ্যাশনের ট্রেন্ড নিমিষেই জেনে নিতে পারে যে কেউ। বিশ্বের নানা প্রান্তে কে কোন পোশাক পরছে তা জানা যায় মুহূর্তেই। তরুণরা এ বিষয়ে বেশি এগিয়ে থাকে। সারা বিশ্বের ফ্যাশন এখন সবার হাতের নাগালে। বাংলাদেশের ফ্যাশন বাজারও এর বাইরে নয়। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশীয় উপকরণে দেশীয় স্টাইলের বাইরে পোশাক ক্রেতাদের হাতে তুলে দিতেই দেশীদশের প্রতিটি ফ্যাশন হাউজ একটি করে কো-ব্র্যান্ড তৈরি করার প্রয়াস গ্রহণ করে। আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো অনেক আগে থেকেই কো-ব্র্যান্ড তৈরি করে এবং ক্রেতারা তা গ্রহণ করে। আমাদের দেশে ধারণাটি নতুন। ক্রেতারা কীভাবে এটিকে গ্রহণ করবে সেটা জানার জন্য হয়তো একটু অপেক্ষা করতে হবে। দেশীদশের প্রতিটি ফ্যাশন হাউজ তাদের মূল ধারার থেকে একটু আলাদা ভাবে তাদের কো-ব্র্যান্ডগুলো উপস্থাপন করেছে এবং ক্রেতাদের হাতে দেশীয় পোশাক আন্তর্জাতিক স্টাইলে তুলে দিতে প্রয়াস নিয়েছে।
নিপুণের নতুন কো-ব্র্যান্ড মাকু, কে ক্রাফটের ইয়াংকে, অঞ্জনস এর আর্ট অব ব্লু, রঙ বাংলাদেশের ওয়েস্ট রঙ, বাংলার মেলার বাংলা হাট, সাদাকালোর বিয়ন্ড সাদাকালো, বিবিয়ানার বালিকাবেলা, দেশালের এসেন্স অব দেশাল, নগরদোলার হ্যান্ডটাচ এবং সৃষ্টির প্রিন্ট ক্রাফট।
কো-ব্র্যান্ডগুলোর পোশাক ও রঙ নকশার সঙ্গে সাংবাদিকদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পরিচয় করিয়ে দেন সংশ্লিষ্ট ফ্যাশন হাউজের প্রতিনিধিরা। এর পর শুরু হয় সাংবাদিকদের প্রশ্নত্তোর পর্ব। এ সময় দেশীদশের ফ্যাশন হাউজের প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তারা জানান, দেশীদশকে আরও সম্প্রসারিত করতে চান তারা। কাস্টোমাররা দেশীদশের পোশাকগুলোতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। কো-ব্র্যান্ডের আলাদা আলাদা আউটলেট খোলার বিষয়ে দেশীদশের প্রতিটি ফ্যাশন হাউজ স্বাধীন। সময়ের প্রয়োজনে কো-ব্র্যান্ডগুলোরও আলাদা আলাদা আউটলেট হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দেশীদশের প্রতিনিধিরা।