তরুণদের মধ্যে বিভিন্ন নকশার দাড়ি রাখার প্রচলন দেখা যায়। চাপ দাড়ি, লম্বা দাড়ি কেউবা আবার থুতনিতে অল্প করে দাড়ি রাখেন। দাড়ি যেমন সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি চেহারার সঙ্গে অসামঞ্জস্য দাড়ি দেখতে আরও বাজে লাগতে পারে।
চলুন, আজ জেনে নিই কীভাবে দাড়িতে সামঞ্জস্যপূর্ণ নকশা আনা যায়।
ছোট রাখা: অনেকে দাড়ি বড় করতে চান। তবে দেখা যায় দাড়ি বড় করলে তা এলোমেলো হয়ে যায়। এমন সমস্যা যাদের হয় তাদের জন্য দাড়ি ছোট করে রাখাই ভালো অথবা খোঁচা খোঁচা দাড়িও রাখতে পারেন, তা পরিচর্যা করা সহজ।
বড় করা: অনেকের মুখের সব জায়গায় ঠিকমতো দাড়ি ঠিকমতো গজায় না। ফলে দাড়ি ছোট রাখলে সে জায়গাগুলো খালি খালি দেখা যায়। এমন যাদের হয় তারা দাড়ি বড় করে সেই খালি জায়গাগুলো পূরণ নিতে পারেন। তবে বড় না হওয়া অবধি কিছুদিন অস্বস্তি লাগতে পারে।
ব্রাশ করা: মাথার চুল আঁচড়ালে যেমন গোছানো ও পরিপাটি লাগে, তেমনি দাড়ি আঁচড়ালেও গোছানো ও পরিপাটি লাগে এবং কোনো খুঁত থাকলে তা ঢেকে যায়। তাই সুন্দর দাড়ি পেতে নিয়মিত দাড়ি আঁচড়ান।
ট্রিম করা: দাড়ির খুঁত যদি কোনোভাবেই ঢাকা না যায়, তবে নিয়মিত ট্রিম করুন এবং দাড়ি সব এক মাপেই রাখুন। এমনটি করলে দাড়ির অসামঞ্জস্য চোখে পড়বে না।
নিজের মতো করে নকশা করুন: দাড়ি কাটার সময়ে অনেকেই গালের পাশ, চোয়াল ও গলার অংশটুকু এড়িয়ে যান। দাড়ি এসব জায়গাতেই বেশি ওঠে। তাই দাড়ি ট্রিম করার সময়ে এদিকে মনোযোগ দিন। গলার পাশের দাড়ি ট্রিম করার সময়ে ক্লিপার ব্যবহার করুন। যাদের অল্প দাড়ি তারা এমন একটি প্যাটার্ন বেছে নিন যেন অল্প দাড়ি ওঠার জায়গাটা মনে হয় এটি একটি স্টাইল বাঁ প্যাটার্ন। গলার চারপাশে রেজার ব্যবহার করে দাড়ি কেটে আরও সুন্দর নকশা করে নিতে পারেন। দাড়িতে খুঁত বাঁ অসামঞ্জস্য থাকলে তা ঢেকে যাবে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।