রং তুলির আঁচড়ে মানুষের মেটাহিউম্যান হয়ে ওঠার গল্পকে তুলে ধরতে রাজধানীর দৃক গ্যালারিতে শুরু হয়েছে চিত্রশিল্পী নাবিলা রহমানের আঁকা বিমূর্ত চিত্রকর্মের একক প্রদর্শনী। পাঁচ দিনব্যাপী ‘সাইলেন্ট হুইস্পার আর্ট’ শীর্ষক এই বিমূর্ত চিত্রকর্মের প্রদর্শনী ২১ জানুয়ারি শুক্রবার শুরু হয়ে আজ ২৫ জানুয়ারি শেষ হতে যাচ্ছে। চলমান এ প্রদর্শনীর মূল থিম- ‘ডিসকভারিং দ্য মেটানোইয়া’।
প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া সবগুলো চিত্রকল্পেই বিমূর্ত ও প্রতীকী অর্থে মেটাহিউম্যানের বিভিন্ন অনুষঙ্গকে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে। একজন সচেতন মানুষ কীভাবে মেটাহিউম্যান হয়ে উঠছে তার গল্প উপস্থাপন করা করা হয়েছে এই প্রদর্শনীতে। মেটানোইয়ার উপর প্রথমবারের মতো আয়োজিত প্রদর্শনীতে নাবিলা রহমানের মোট ৪০টি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে।
চিত্রশিল্পী নাবিলা রহমান বলেন, “মেটানোইয়া একটি গ্রিক শব্দ। মেটা মানে ‘সীমার বাহিরে’ আর নোইয়া অর্থ ‘চিন্তা’। মেটানোইয়া বলতে মূলত মানুষের মন, হৃদয় ও আত্মার চিন্তাসীমার বাহিরে বিচরণকে বুঝানো হয়েছে! মেটাহিউম্যানেরা তাদের সচেতন এবং অবচেতন মনের বাহিরে চারপাশে কী ঘটছে সে সম্পর্কে বলতে পারে। যারা সকল ধরনের অবচেতনতার অন্ধকার থেকে মুক্ত এবং চিন্তার বাইরে বিরাজমান পদ্ধতি, কাঠামো, সংস্কৃতি, তত্ত্ব বা ভালো-মন্দ ছাড়াও ভিন্ন কিছু করার সাহস দেখাতে পারে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে পারেন।”
একজন স্বভাবজাত চিত্রশিল্পী হলেন নাবিলা রহমান। বিভিন্ন সময় কমিশনভিত্তিক কাজ করার মধ্য দিয়ে তার শিল্পচর্চা শুরু। চিত্রাঙ্কণের জন্য তার পছন্দের মাধ্যম হলো- অ্যাক্রাইলিক, তৈলরঙ, চারকল এবং বিভিন্ন ধরনের টেক্সচার।
অদ্ভুদ হলে সত্য, শখের বসে নিজ প্রচেষ্টায় গত আড়াই বছরে প্রায় ৫০টির মতো চিত্রকর্মের স্রষ্টা নাবিলা রহমান ঢাকার গুলশানে মতো এলাকার বেশ কয়েকটি অভিজাত রেস্টুরেন্টের মালিক। নাবিলা রহমানের প্রদর্শনী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ওয়েবসাইট: https://shop.silentwhisperart.com/ এবং ফেসবুক পেইজ: https://m.facebook.com/SilentWhisperArt/ ঘুরে আসা যেতে পারে।