সাকো ওয়াচ কম্পানি দেশে নিয়ে এলো সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত ব্র্যান্ডের ঘড়ি “বেল অ্যান্ড রস” । এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এটি পাওয়া যাবে ৩ থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যে। শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর কুড়িলে অবস্থিত যমুনা ফিউচার পার্কের নিচ তলায় এই ঘড়ির বিক্রির একটি শো-রুমের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী এবং বরিশাল-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জনাব রাশেদ খান মেনন।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সাকো ওয়াচ কোম্পানি বহু বছর ধরে বাংলাদেশে সুইস ব্রান্ড ঘড়ি আমদানি করে তাদের বিভিন্ন শোরুমের মাদ্ধমে বাংলাদেশের ঘড়ি প্রেমি মানুষের হাতে পৌঁছে দিয়েছে এবং তারা দেশে ঘড়ি ব্যবসার ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আমি জেনেছি, দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাকো ওয়াচ কোম্পানিতে আসতেন এবং এখান থেকে “রোমার” ব্রান্ডের ঘড়ি ক্রয় করেছেন।’আজকে তারা আরেকটি ব্র্যান্ডের ঘড়ি বাজারে এনেছে, যার নাম বেল এন্ড রস। যারা ঘড়ি প্রেমি, যাদের মধ্যে ঘড়ি নিয়ে আগ্রহ আছে নিশ্চয়ই তারা এই ঘড়ির বিষয়ে আগ্রহী হবেন। বেল অ্যান্ড রস বাংলাদেশে সঠিক পার্টনারের মাধ্যমে এসেছে। আশা করি এই ব্র্যান্ড দেশে সফলভাবে পরিচালিত হবে।’
এটা সুইস ব্র্যান্ডের ঘড়ি। এদের ইউনিক ডিজাইন, ক্র্যাফটিম্যানশীপ, যে ভিন্নতা তা অন্য কোনো কম্পানির ঘড়িতে নেই। এই কম্পানি ১৯৯৪ সালে ঘড়ি প্রস্তুত শুরু করলেও বিশ্বে খুব দ্রুত প্রসার লাভ করছে। কারণ সারা পৃথিবীর তরুণ তরুণীরা এই ঘড়ি বেশি পছন্দ করছে, ডিজাইনটা খুবই আকর্ষণীয়। দুই বছরের আন্তর্জাতিক ওয়ারেন্টি রয়েছে। তবে আগামী জুন মাস থেকে কোম্পানির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রয়কৃত ঘড়িটির তথ্য অনলাইনে আপডেট করলে ক্রেতা আরো এক বছর বেশি ওয়ারেন্টি পাবেন। তবে যেগুলো লিমিটেড এডিশন ঘড়ি সেগুলো আমরা ৫ বছরের আন্তর্জাতিক ওয়ারেন্টি প্রদান করছি। যেমন বেল অ্যান্ড রস একটি ডিজাইনের ঘড়ি মাত্র ৯৯টি প্রস্তুত করেছে। সারা বিশ্বে মাত্র ৯৯ জন মানুষের কাছে ওই ঘড়ি থাকবে। আমাদের শো-রুমে তার মধ্যে একটি ঘড়ি এসেছে। নিশ্চয়ই কোনো একজন গ্রাহক সেই ঘড়িটি কিনতে পারবেন। কিছু ডিজাইনের ঘড়িতে সোনা ও হীরা দেওয়া আছে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বেল অ্যান্ড রোজ কম্পানির সিনিয়র সেলস ম্যানেজার রোমেইন ডেসমারেস্ট, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাকো ওয়াচ কম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইকরাম রহমান প্রমুখ।
ফুয়াদ/ক্যানভাস অনলাইন