প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকে ডিম। পুষ্টিগুণে ভরা বিধায় ছোট বড় সবার কাছেই এর কদর বেশি। ডাক্তাররাও রোজ রোজ ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ডিমের চাহিদা ব্যাপক। আর তাই সেই সুযোগ বুঝে তৈরি হয়েছে নকল ডিম। সাধারণ মানুষের পক্ষে খালি চোখে নকল ডিমের সঙ্গে আসল ডিমের ফারাক বোঝার উপায় নেই। কেননা, এ ডিম তৈরি হয় হাঁস-মুরগির ডিমের আদলেই। কিন্তু নকল ডিমের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক। নকল ডিমে কোনো খাদ্যগুণ তো থাকেই না, উল্টো দীর্ঘদিন ধরে এ ডিম খেতে থাকলে কিডনি, স্নায়ুতন্ত্রে সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া হতে পারে ফুসফুস ক্যানসার।
নকল ডিম তৈরি হয় ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রেসিন ও জিলেটিন দিয়ে, যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তবে একটু সতর্ক থাকলে আপনি নিজেই যাচাই করতে পারবেন ডিমের আসল নকল। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
নকল ডিম আসল ডিমের তুলনায় আকারে বড় হয়ে থাকে। এমনকি আসল ডিমের চেয়ে এ ডিমের বাহ্যিক চকচকে ভাব বেশি হয়। নকল ডিম ঝাঁকালে ভেতরে পানি নড়াচড়ার শব্দ শোনা যায়। এ ডিম ভাঙার পর কুসুমের সঙ্গে সাদা অংশ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। সেদ্ধ করার পরও বুঝতে পারবেন আসল-নকল। সেদ্ধ করার পর নকল ডিমের কুসুম বর্ণহীন হয়ে পড়ে।
নকল ডিমের খোসা তুলনামূলকভাবে বেশি শক্ত থাকে। খোসা মসৃণ হয় এবং বিন্দু বিন্দু দাগ দেখা যায়। রান্নার পর ডিম থেকে গন্ধ আসে। তীব্র গন্ধযুক্ত কোনো বস্তুর পাশে নকল ডিম রাখলে ডিমের মধ্যে সেই গন্ধ ঢুকে যায়। এ ছাড়া নকল ডিমে পিঁপড়া বা পোকামাকড় বসে না।