২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ১,০০,০০০ নারীকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসা দি কোকা-কোলা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও জেম্স কোয়েনসি। কোম্পানির বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশে আরও ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণাও দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের ব্যবসা ঠিক ততটুকুই টেকসই, যতটুকু আমাদের জনসমাজ ও পারিপার্শ্বিক পরিমণ্ডল টেকসই। যার মানে, আমাদের ব্যবসার টেকসই উন্নয়ন তখনি সম্ভব, যখন আমাদের চারপাশের মানবসমাজের ও জনসমাজের উন্নয়ন সম্ভব হয়।’
বাংলাদেশে নিজেদের ব্যবসার টেকসই সম্প্রসারণে কোকা-কোলা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা বাংলাদেশের অগ্রাধিকারগুলো বুঝে এবং সেগুলোর সাথে মিল রেখেই নির্ধারণ করা হয়। ২০১৫ সালে প্রথম ‘উইমেন বিজনেস সেন্টার’ (ডব্লিউবিসি) চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশে ‘৫বাই২০’ (ফাইভ বাই টোয়েন্টি) কর্মসূচিটির সূচনা ঘটায় কোকা-কোলা। ‘ডব্লিউবিসি’ এমন অনন্য একটি মডেল, যেটি নারীর দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের নারী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করে থাকে। নারী উদ্যোক্তারা সচরাচর যেসব বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হন, সেসব সমস্যা চিহ্নিত করার পাশাপাশি সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, বাজার তথ্য, কৃষি প্রশিক্ষণ, মোবাইল ব্যাংকিং সহায়তা, স্বাস্থ্য পরামর্শ, দিক নির্দেশনা ও নেটওয়ার্কিং সুবিধা প্রদান করে ‘ ডব্লিউবিসি ’। এভাবে প্রতিটি ‘ ডব্লিউবিসি’ তার আওতাধীন এলাকার শত শত নারী উদ্যোক্তাকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম, সেবা ও পরামর্শ প্রদান করে থাকে।
কেন্দ্র-উপকেন্দ্র মিলিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ২৪০টি ‘উইমেন বিজনেস সেন্টার’ পরিচালিত হচ্ছে, যার মাধ্যমে ৭০ হাজারেরও বেশি নারী ইতোমধ্যেই আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। চলতি বছরের মধ্যে এক লাখেরও বেশি নারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ‘উইমেন বিজনেস সেন্টার’ বা ‘ ডব্লিউবিসি’র সুবিধা ভোগ করবেন। বর্তমানে দেশের জামালপুর, খুলনা ও বাগেরহাট জেলায় প্রকল্পটির কার্যক্রম চলছে।