বাজার এখন নানান রঙের চায়ে সয়লাব। গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি, রেড টি, আরও কত কী! তবে এ সবকিছুর চেয়ে গুণে ও মানে সেরা হচ্ছে নীল চা। অপরাজিতা ফুল দিয়ে তৈরি হয় এ চা। নীল অপরাজিতা ফুল, ক্লিটোরিয়া টারনেটি থেকে তৈরি হয় ব্লু টি তথা নীল চা। এ ফুলকে এশিয়ান পিজিয়ন উইঙ্গস বা ব্লুবেলভাইনও বলা হয়ে থাকে। মূলত এশিয়াতেই চাষ হয় এ চায়ের।
অন্যান্য চায়ের মতো এটিও আপনাকে দিনভর চাঙা রাখবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, এ চায়ে আছে ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু স্বাস্থ্যগুণ আছে নীল চায়ে। আসুন, জেনে নিই।
গ্রিন টির মতোই নীল চা ভালো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ডাইইউরেটিক হওয়ার কারণে এ চা ইউরিনেশনে সাহায্য করে। এমনকি এর মধ্যে থাকা সাইক্লোটাইডের অ্যান্টি-এইচআইভি, অ্যান্টি-টিউমার গুণ রয়েছে।
নীল-চা শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। এর অ্যান্টি-গ্লাইসেটিন গুণের জন্য এটি ত্বকের জন্য ভালো। এর ফ্লাভনয়েড ত্বকে কোলাজেন তৈরি করে ইলাস্টিসিটি বাড়িয়ে বলিরেখা পড়তে দেয় না।
অ্যান্থোসায়ানিন থাকায় চুল পড়া সমস্যাতে ভূমিকা রাখে নীল চা। এটি স্কাল্পে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে হেয়ার ফলিকলের বৃদ্ধি ঘটায়।
এ ছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত নীল চা পান করলে মানবদেহ ক্ষতিকর সংক্রামণ থেকে রক্ষা পায়। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এ চা বিশেষ উপকারী। শরীরচর্চার দিক থেকেও নীল চা একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বহন করে। এটি ত্বক ও চুলের যত্নেও ব্যবহার করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, চঞ্চলতা ও হতাশা কাটানোর এক মহা ওষুধ হতে পারে নীল চা। শরীরকে টক্সিনমুক্ত রাখে এটি।
নীল চা হজমশক্তি বাড়ায়। এটি লিভারে বাইল তৈরিতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া বমি ভাব কাটানোর কাজেও আসে নীল চা।