দুধের একটি পদ পনির। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই আকর্ষণীয়। যদিও একটু পনির চেখে দেখতে অনেকেরই পকেট হালকা হয়ে যায়, তবে এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানা থাকলে ওইটুকু টাকা খসলেও খুব একটা গায়ে বাধবে না।
দুধের মতোই পনির আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। জেনে নিন পনিরের গুণের ফিরিস্তি।
সুস্থ হাড়: ক্যালসিয়ামের একটি বড় উৎস হচ্ছে পনির। হাড় গঠনে ও মজবুত করতে ক্যালসিয়াম একটি অপরিহার্য মৌল। গর্ভবতী মায়েদের জন্য পনির খাওয়া জরুরি। শিশুদের হাড় মজবুত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পনির। তা ছাড়া পনিরে থাকা প্রোটিন ও ভিটামিন হাড়ক্ষয় রোধ করে।
হার্ট ভালো রাখে: ক্যালসিয়াম ছাড়াও পনিরে আছে পটাশিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম। তা ছাড়া এতে আছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যা হার্টের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
কোলেস্টরেল দূর করে: পনির শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে। তবে এ জন্য পরিমিত পরিমাণ পনির খেতে হবে। পনিরে প্রোবাইওটিক ব্যাকটেরিয়া বিদ্যমান, যা দেহে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি হতে দেয় না।
ক্যানসার প্রতিরোধ: পনিরের লিনোলিক ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি লিভার ও ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধক: গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে, দৈনিক ৫০ গ্রাম করে পনির খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস যায়।
সুস্থ দাঁত: হাড় ক্ষয়ের রোধের মতোই পনির দাঁতের ক্ষয় রোধ করে। পনিরের ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দাঁত ভালো রাখে।
মস্তিষ্ক: পনিরের ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখে।
এসব ছাড়াও পনির ত্বক উজ্জ্বল করে। এর ফসফরাস চোখের জন্য ভালো। পনির হজমশক্তি বাড়ায়, ওজন কমায়।
সুতরাং, নিয়মিত পরিমিত পরিমাণ পনির খান, সুস্থ থাকুন।