skip to Main Content
প্রসঙ্গ ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল

সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা যাচ্ছে ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল’-এর জোয়ার। এফ কমার্সের রথি-মহারথি থেকে নতুন ব্র্যান্ডগুলোতে এই অফার নিয়ে দারুণ মাতামাতি। আকর্ষণীয় মূল্য ছাড়ে কেনাকাটায় ব্যস্ত সবাই।

ই-কমার্সেও এই বিশেষ দিনের ব্যানার ঝুলছে বেশির ভাগ ওয়েবসাইটে। কেনাকাটা চলছে আনন্দের সঙ্গে। কিন্তু এই ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল’ আসলে কী, সেটা জানা আছে তো? না থাকলে জেনে নেওয়া যেতেই পারে।

১৮৬৯ সালে প্রথম আমেরিকায় প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল। এর পেছনে আছে একটি বিশেষ কারণ। ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দা তখন যুক্তরাষ্ট্রে। ব্যবসায়ীরা একের পর এক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে তারা এমন একটি দিনের কথা ভাবছিলেন, যেদিন সব পণ্যে থাকবে বিশেষ ছাড়।

সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নভেম্বরের শেষ শুক্রবার হবে সেই দিন। এই দিন নির্ধারণের কারণ, নভেম্বরের শেষ বৃহস্পতিবার থ্যাংকস গিভিং পালন করা হয়ে থাকে। তারপরের দিন থেকে আসন্ন ক্রিসমাসের উদ্দেশ্যে কেনাকাটা শুরু করেন অনেকেই। বিশেষ সময়টিতে ক্রেতা সমাগম অনেক বেশি হয়।

আমেরিকায় ১৮৬৯ সালের নভেম্বরের শেষ শুক্রবার ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ হিসেবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সব শেষে হিসাব করে দেখা যায়, যে পরিমাণ বিক্রি হয়েছে পুরো দেশ জুড়ে, তাতেই অর্থনৈতিক সূচক এক লাফে অনেক উপরে উঠে গেছে।

ব্ল্যাক বা কালো শব্দটির সাথে জড়িয়ে আসছে গুরুত্বপূর্ণ সেসময় হিসাবের খাতায় লোকসানের হিসাব লেখা হতো লাল কালিতে এবং লাভের হিসাব কালো কালিতে লেখা হতো। তাই ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে যেহেতু লোকসানের হিসাব বন্ধ করে কালো কালিতে লাভের হিসাব লেখা শুরু হয় এজন্য এই দিনকে বলা হয় ব্ল্যাক ফ্রাইডে।

  • সারাহ্/ ক্যানভাস অনলাইন
    ছবি: ইন্টারনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top