বিয়ে একটি বন্ধন। এই বন্ধন শুধু একসঙ্গে পথ চলারই নয়। বিয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হয় দুটি মানুষ, দুটি পরিবার, দুটি সমাজ, দুটি জীবনব্যবস্থা, দুটি দর্শন। তাই বিয়ের দিনটি নবদম্পতিদের জীবনে একটি বিশেষ দিন। অনুরূপভাবে বিয়ের রাতটাও অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। অনেক আগে থেকেই নানান আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন হয়ে আসছে বিয়ের রাত। ফুলশয্যার রাতে নবদম্পতিরা যেখানে থাকবেন সে বিছানাটি সাজানো হয় লাল গোলাপের পাপড়ি দিয়ে। কিন্তু কেন এই লাল গোলাপের পাপড়ি? কারণ, লাল গোলাপের পাপড়ির সঙ্গে মিশে আছে স্নায়বিক বিষয়াদি ছাড়াও মনস্তাত্ত্বিক অনেক কিছু।
স্নায়বিক প্রশান্তি: বিয়ের দিন সকাল থেকে শুরু করে বর-কনে দুজনই খুব ব্যস্ত থাকেন। এই ব্যস্ততা ও চিন্তা ক্লান্তি নিয়ে আসে রাতে। গোলাপের গন্ধ স্নায়ুকে শান্ত করে ও চাপ কমায়।
গোলাপ ঘুমের ওষুধ: বিয়ের প্রথম রাতে ভালো ঘুম হওয়াটাও অত্যন্ত জরুরি। না হয় পরের দিন কাটতে পারে বিষণ্ণতায়। গোলাপ ঘুমের জন্য উপকারী। গোলাপের গন্ধ পাল্টে দিতে পারে ঘরের আবহাওয়া। গোলাপের গন্ধ মেজাজ শান্ত করে। অ্যারোমাথেরাপি বিশেষজ্ঞরা জানান, গোলাপ মেজাজে প্রশান্তি আনতে সহায়ক।
যৌন উত্তেজক: বিয়ের রাতে বরকে দুধ ও পায়েস খাওয়ান হয়। এই কাজে গোলাপও এক পা এগিয়ে থাকতে পারে। গোলাপ প্রাকৃতিকভাবেই যৌন উত্তেজক হিসেবে কাজ করে। সুতরাং বাসররাতে গোলাপ আনতে পারে একটু বাড়তি আমেজ।
ভালোবাসার রং ও আবেগের প্রতীক: প্রেম নিবেদনে ফুলের কথা ভাবলে আগেই মাথায় আসে গোলাপের কথা। গোলাপের লাল টুকটুকে রং ও সুগন্ধ মোহিত করে মানুষকে। মনের ভাব প্রকাশে রঙও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। আমাদের উপমহাদেশে ভালোবাসার রঙ হিসেবে অনেক আগে থেকেই ধরে আসা হচ্ছে গোলাপের লাল রঙকে। মূলত গোলাপের লাল উজ্জ্বল রঙের কারণেই ফুলশয্যায় ব্যবহৃত হয় গোলাপ।