আমাদের ঘরের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু বস্তু রয়েছে যা আমাদের নিজের অজান্তেই নীরব ঘাতকের মতো ক্ষতি করে যাচ্ছে আমাদের স্বাস্থ্যের। বিশেষ করে ফুসফুসের। আসুন, চিনে নিই সেসব নীরব ঘাতককে।
ব্লিচিং পাউডার: ক্লোরিন এবং অ্যামোনিয়া অ্যাসিড যুক্ত একটি পণ্য। এটি ব্যবহার করলে অ্যাজমা কিংবা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমনারি ডিজিজের মতো ভয়াবহ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কার্পেট: কার্পেট ও পাপোশ দ্বারাও আক্রান্ত হতে পারে ফুসফুসের। কার্পেট ও পাপোশে থাকা ময়লা–আবর্জনা থেকে হাঁচি-কাশিসহ অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হতে পারে।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার: এর ধুলাবালি থেকে নাকে অ্যালার্জি আক্রান্ত মানুষের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
বাড়ির বেসমেন্ট: বাড়ির বেসমেন্টের পাথর ও মাটিতে র্যাডন নামক একটি গন্ধহীন তেজস্ক্রিয় প্রাকৃতিক গ্যাস উপস্থিত থাকে। এ গ্যাস কোনোভাবে বাড়িতে প্রবেশ করে যদি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানুষের শরীরের ভেতরে ঢোকে, তাহলে তা থেকে ফুসফুসের ক্যানসার পর্যন্তও হতে পারে!
বেসিন: বাথরুমের বেসিনের নিচের দিকে স্যাঁতসেঁতে ভাব থাকে. সেখানে বাসা বাঁধে ক্ষতিকর ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়া। সুতরাং নিয়মিত বেসিন পরিষ্কার রাখা কর্তব্য। নচেৎ ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে।
কীটনাশক: তেলাপোকা, ছারপোকা মারার জন্য আমরা কীটনাশক অথবা স্প্রে ব্যবহৃত করি। সেটা থেকেও ফুসফুসের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্ক আছে। তাই এগুলো ব্যবহার করার সময় দরজা কিংবা জানালা খোলা রাখুন।
রং: রং করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে ঘরের দরজা জানালা খোলা আছে কি না। কেননা, রঙের মধ্যে যেসব রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, সেগুলো নিশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করলে ফুসফুস ক্যানসার হতে পারে।