ডিসেম্বরের ৬ আর ৭– এই দুদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা জুড়ে ছিল ইয়োগা অ্যান্ড ওয়েলনেস ফেস্টিভ্যাল। ঢাকা ফ্লোর আয়োজনে। ঢাকা শহরের গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে। সবুজে ঘেরা এক টুকরো স্থান। মন, আত্মা আর দেহের ঐকতানের এক আয়োজন। শান্ত, অস্থিরতাহীন। প্রকৃতির সান্নিধ্যে এক টুকরো অবসর।
পুরো উৎসবকে ভাগ করা হয়েছিল বিভিন্ন অধ্যায়ে। ইয়োগাশালা, অ্যাম্পিথিয়েটার, মেডিটেশন গার্ডেন, আর্ট অ্যান্ড সোল। ইয়োগাশালাতে বিভিন্ন রকম ইয়োগা প্রদর্শন করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কার্ডিও ফ্লো, ট্রান্সফরমেটিভ ইয়োগাসহ আরও অনেক আয়োজন ছিল। বক্সারসাইজ, সেলফ ডিফেন্সে বেশ আগ্রহ দেখিয়েছেন দর্শক। ডান্স অ্যান্ড ড্যাজেল, সালসা, সিং অ্যালঙ্গের মতো কনসেপ্ট উপস্থিত ব্যক্তিদের বেশ আনন্দ নিয়ে উপভোগ করতে দেখা গেছে।
মেডিটেশন গার্ডেনে মনোযোগীদের জন্য ছিল ভিন্ন স্বাদের আয়োজন। কুণ্ডলিনী ইয়োগা, সাউন্ড মেডিটেশন, সাউন্ড হিলিংয়ের পাশাপাশি নতুন কয়েকটি কার্যক্রমে মুগ্ধ হয়েছেন অতিথিরা। যেমন শেরাপি এবং রাইট টু রিলিজ। শেরাপিতে জানা গেছে অনুভূতির জানান দেওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ। রাইট টু রিলিজের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা কষ্ট, অভিমান, অসহায়ত্ব, রাগকে লেখার মাধ্যমে প্রকাশ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। ওয়ার্কশপের মাধ্যমে ইমারজেন্সি সিপিআর কীভাবে প্রদান করতে হয়, তা শেখানো হয়। একই সঙ্গে খাবার গলায় আটকে গেলে কী করণীয়, তাও প্রদর্শন করা হয়। আড়ং আর্থ রেখেছিল ফ্রি হ্যান্ড মাসাজ সেবা।
সাসটেইনাবেল লাইফস্টাইল ও ফ্যাশনের জয়জয়কার ছিল ইভেন্ট জুড়ে। ধরণীকে ভালোবেসে, প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর না– এমন উপাদানে তৈরির পসরা ছিল। সেখানে পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন উদ্ভাবন দেখা গেছে। ব্যান্ড কাকতালের গান আসর জমিয়েছে। ফ্যাশন ডিজাইনার হুমায়রা খানের সাস্টেইনাবেল ফ্যাশন শো বুঝিয়েছে প্রকৃতিকে ভালোবেসেও ফ্যাশনিস্তা হওয়া যেতে পারে।
পরিমিত জায়গায় ছিল খাবারের আয়োজন। শিশুদের জন্যে খেলার জায়গা ছিল। আয়োজক ও দর্শনার্থী দুজনেরাই চেষ্টা করেছেন প্রকৃতিকে ভালোবেসে ভালো রাখতে। প্ল্যাস্টিক ব্যবহার সম্পূর্ণ বর্জন করার চেষ্টা ছিল আশাজাগানিয়া।
রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হয়েছিল। পরিমিত আয়োজনে পরিশীলিত আনন্দের এই আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ক্যানভাস।
- সারাহ্/ ক্যানভাস অনলাইন
ছবি: আয়োজকদের সৌজন্যে