বাংলাদেশের অটোমোবাইল গ্রাহকদেরকে সম্পূর্ণ নতুন গাড়ি এবং মানসম্পন্ন বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে হুন্দাই মোটর কর্পোরেশনের অনুমোদিত ডিষ্ট্রিবিউটর হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে ফেয়ার গ্র্রুপের মোটরগাড়িভিত্তিক অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ফেয়ার টেকনোলজি লিমিটেড।বিভিন্ন ব্র্যান্ডের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও পণ্য এবং সেবা সরবরাহ করে বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়ানোই ফেয়ার গ্র্রুপের অন্যতম লক্ষ্য। ফেয়ার গ্র্রুপ বাংলাদেশেই স্যামসাং স্মার্টফোন এবং কনজুমার ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন করছে। এছাড়া ফেয়ার গ্র্রুপ সারা দেশে নিজস্ব রিটেইল, এন্টারপ্রাইজ, বিক্রয়োত্তর সেবা, ও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক ব্যবসা পরিচালনা করছে।
২৫ জুলাই ফেয়ার টেকনোলজির ডিরেক্টর মুতাসিম দাইয়ান ওয়েবিনারের মাধ্যমে হুন্দাই ও ফেয়ার টেকনোলজির পার্টনারশিপের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফেয়ার গ্র্রুপের উপদেষ্ঠা মেজর জেনারেল হামিদ আর. চৌধুরী, আরসিডিএস, পিএসসি (অব.), চীফ মার্কেটিং অফিসার মেসবাহ উদ্দিন, হেড অব মার্কেটিং জে. এম. তসলিম কবীর, ফেয়ার টেকনোলজির হেড অব সেলস আবু নাসের মাহমুদ, হেড অব সার্ভিস আবুল হাশেম, প্রডাক্ট ম্যনেজার ফরিদ আল সোহানসহ ফেয়ার গ্র্রুপের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ফেয়ার টেকনোলজি হুন্দাইয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশী অটোমোবাইল গ্রাহকদেরকে “মডার্ণ প্রিমিয়াম” অভিজ্ঞতা প্রদানের মাধ্যমে একটি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
হুন্দাইয়ের সাম্প্রতিক মডেলের সর্বাধিক জনপ্রিয় গাড়ি সেডান (সোনাটা, ইলান্ট্রা), এসইউভি (পেলিসেড, সানটা ফে, টুসন, ভেন্যু), মাইক্রোবাস এবং অ্যাম্বুলেন্স (এইচ -1) উম্মোচনের মাধ্যমে ফেয়ার টেকনোলজি তার পথচলা শুরু করছে। হুন্দাই এই সকল গাড়ির ক্ষেত্রে ৩ বছর বা ১০০,০০০ কি.মি. ম্যানুফ্যাকচারার ওয়ারেন্টি দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই গাড়িগুলো প্রত্যেক ব্যবহারকারীর সুবিধা চিন্তা করে তৈরী, যাতে আছে আধুনিক প্রযুক্তির গাাড়ির সব ধরনের সুবিধা এবং এই গাড়িগুলো সম্পূর্ণরূপে দক্ষিণ কোরিয়ায় উৎপাদিত ।
ফেয়ার গ্র্রুপের চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, ‘মোটরগাড়ি শিল্পে হুন্দাইয়ের সাথে আমাদের নতুন যাত্রা ঘোষণা করতে পেরে আমরা গর্বিত। হুন্দাই এবং ফেয়ার গ্র্রুপ উভয়ের ভবিষ্যত দর্শন একই; আমরা স্থায়িত্ব ও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ভবিষ্যতের দর্শনকে লালন করি। অটোমোবাইল শিল্পে প্রযুক্তি হস্তান্তর, মানবসম্পদ বিকাশ ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই আমাদের লক্ষ্য। শীঘ্রই আমরা হুন্দাই-এর প্রত্যক্ষ সহযোগীতা এবং সরকারের প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তায় উৎপাদনভিত্তিক কারখানা স্থাপন করব।’
এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের এইচ এম সি-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মি. ওয়াই এস লি একটি অফিসিয়াল বার্তায় বলেন, “আমাদের নতুন ব্র্যান্ড কৌশল ‘কোয়ালিটি টাইম’ এর অধীনে গ্রাহকদের জীবনমান উন্নয়নে ভবিষ্যত কেন্দ্রিক নকশা, ব্যবহারকারী সুবিধা অনুযায়ী গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি । গ্রাহকদের মোটরগাড়ি সংক্রান্ত ভবিষ্যতের সমস্যাগুলোর টেকসই সমাধানে ক্রমাগত গাড়ির মানোন্নয়ন করার মাধ্যমে আমরা আপনাদের সারাজীবনের অংশীদার হওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বাংলাদেশে আমাদের নতুন অংশীদার ফেয়ার টেকনোলজিকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে অঙ্গিকারাবদ্ধ।”
ফেয়ার গ্র্রুপের সিএমও মেসবাহ উদ্দিন বলেছেন, “বাংলাদেশে ব্যক্তিগত গাড়ির গ্রাহকদেরকে মোটরগাড়ি পণ্য এবং সেবার আধুনিক, অভিজাত ও মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ‘মডার্ণ প্রিমিয়াম’ সেবার অধীনে সাম্প্রতিক মডেলের অত্যাধুনিক সুবিধার সকল প্রকার জ্বালানী চালিত গাড়ির বিপণন ও সার্ভিসসহ সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ। খুব শিগগিরই আমরা গ্রাহকদের জন্য পরিবেশবান্ধব গাড়ির (হাইব্রিড, প্লাগ-ইন হাইব্রিড এবং পূর্ণ ইলেক্ট্রিক) সমাহার নিয়ে হাজির হব।”
ফেয়ার গ্র্রুপের বিপণন বিভাগের প্রধান জে এম তাসলিম কবির বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশের ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন বিপণন স্কীমের মাধ্যমে ভোক্তার সন্তুষ্টি লাভ করবো বলে আশা করি। গাড়ীপ্রেমীদের জন্য আমরা শিগগিরই সহজ গাড়ি লোনসহ অন্যান্য সুবিধা নিয়ে হাজির হবো।’
হুন্দাইয়ের সকল নতুন মডেলগুলি দেখতে ভিজিট করতে পারেন এই লিঙ্কে: http://www.hyundai-bd.com/
কল সেন্টার (হটলাইন: +৮৮০ ০৯৬১৩ ৫০৫০৮০) এবং ফেসবুক – fb.com/HyundaiBangladesh এর মাধ্যমে বুকিং করা যাবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
হুন্দাই শোরুম: রেঙ্গস ব্যাবিলনিয়া, ২৪৬/ক, তেজগাঁও আই/এ (লিঙ্ক রোড), ঢাকা ১২০৮।
হুন্দাই মোটরস সম্পর্কে আরও তথ্য জানা যাবে এই লিঙ্ক দুটি থেকে: http://worldwide.hyundai.com অথবা http://globalpr.hyundai.com/