আগামীকাল আঁলিয়স ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে শিল্পী শিবলী সিরাজের ‘ফ্রান্স, নৈসর্গিক ও অনন্ত: এক আলোকচিত্রীর অভিযাত্রা’ শীর্ষক একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। প্রদর্শনীটি চলবে ৮ আগস্ট ২০১৯ পর্যন্ত। আগামীকাল বিকাল ৫টায় এই প্রদর্শনীর প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন করবেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট বা আইটিআইয়ের সাম্মানিক সভাপতি রামেন্দু মজুমদার।
এই প্রদর্শনীটি প্রসঙ্গে বলা যায়, চোখ সেই দৃশ্যকে ধারণ করতে পারে, যা অনেক সময়ই আমাদের সাদাচোখে ধরা পড়ে না। তাই ক্যামেরায় কারও হাতযশ নির্ভর করে অপস্রিয়মাণ দৃশ্যের কতটা তিনি তার ক্যামেরার ফ্রেমে ধরে রাখতে পারছেন, তার ওপর। আমি সব সময়ই অনুপ্রাণিত হয়েছি আমার চিত্রগ্রহণ প্রয়াসে নতুনতর মাত্রা যোগ করতে। আর তা করতে গিয়েই আমায় সবচেয়ে বেশি যা আকৃষ্ট করেছে তা হলো নিসর্গ। এ অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যই শুধু নয় বরং প্রতি মুহূর্তে তার সতত-পরিবর্তমান লীলা আর মানুষের মনের গহিনে তার ব্যঞ্জনা তার প্রভাব আমাকে তাড়িত করে। আমরা সবাই নিসর্গ ভালোবাসি, কিন্তু নিসর্গও যে কখনো কখনো আমাদের সৃষ্টি করে তোলে, তা প্রায়শই ভুলে যাই। প্রকৃতির সৌন্দর্য সব চিত্রকরকে আকর্ষণ করে বিশেষত ফরাসি ইম্প্রেশনিস্ট বা অভিব্যক্তিবাদীদের, যারা একটি নতুনতর পন্থা, বলা উচিত একটি নতুন মাত্রা খুঁজে পেয়েছিলেন প্রকৃতিকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে।
এ বছর মার্চে শিবলী সিরাজ একটি তিন সপ্তাহব্যাপী অভিযাত্রায় ফ্রান্স ভ্রমণ করেন। একটি গাড়ি ভাড়া করে তিনি মহাসড়ক ও গ্রামাঞ্চলের পথেঘাটে ছুটে বেড়ান। ফ্রান্সজুড়ে তাঁ র এই ভ্রমণ, উত্তরের বেলাভূমি থেকে দক্ষিণে এবং সমুদ্র থেকে পাহাড়ে, বিশাল প্রকৃতির ছবি তিনি তুলেছেন, ধরেছেন পাহাড়ি ঝরনায় ছুটে চলা নুড়ির চঞ্চলতা, এডওয়ার্ড মানে’র গ্রামের বাড়ি শিরাজকে মোহাবিষ্ট করেছে এবং তিনি তাকে দেখতে চেয়েছেন তার পরিপার্শ্বের প্রকৃতি সমন্বিত করে। সিরাজ বিশ্বাস করেন, মানবের অস্তিত্বের গহিনে প্রকৃতির বসবাস অত্যাবশ্যকীয়। আর এই মন্ত্রই অনুসরণ করে তার প্রদর্শনী।