ব্যাগ ভর্তি করে আমরা বাজার করে আনি। ঠেসে ঠেসে ভরি ফ্রিজে। কিন্তু কিছুদিন পরেই কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কিছু খাবার পচে যায়। শেষে দোষ বর্তায় ফ্রিজ কোম্পানির ওপর।
একেকটি খাবারের রাসায়নিক উপাদান একেক রকম। একটির প্রভাব আরেকটির উপর পড়ে। কিছু প্রভাব হয় নেতিবাচক। তাই কিছু কিছু পদ আলাদাভাবে স্টোর করতে হবে ফ্রিজে। যেমন
শসা রাখতে হবে আলাদা: টমেটো, কলা ও তরমুজের থেকে শসা আলাদা করে রাখতে হবে। কেননা টমেটো, কলা ও তরমুজ থেকে ইথিলিন গ্যাস তৈরি হয়। এই গ্যাস শাকসবজি ও ফলমূল পাকাতে সাহায্য করে। শসায় এই গ্যাস লাগলে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই শসা রাখতে হবে আলাদা।
মিষ্টিকুমড়ার সঙ্গে আপেল নয়: মিষ্টিকুমড়ার সঙ্গে আপেল রাখলে আপেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
গাজর-মুলা ফ্রিজের বাইরে রাখুন: মাটির নিচে যেসব জন্মে, যেমন গাজর, মুলা, বিট, পেঁয়াজ ইত্যাদি ফ্রিজে না রাখাই ভালো। ফ্রিজে রাখলেই এগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এগুলো ঘরের কোনো ঠান্ডা আর্দ্র ও অন্ধকার জায়গায় রাখাই ভালো।
আঙ্গুর-চেরি ফল ধুয়ে ফ্রিজে রাখুন: বেরি জাতীয় ফলগুলো বেশি দিন ধরে টিকিয়ে রাখার জন্য ভিনেগারের সঙ্গে পরিমাণমতো পানিতে মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে ফলগুলো ধুয়ে ফ্রিজে রাখুন।