আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইদানিং ফ্রি ওয়াইফাই জোন গুলোতে জমে উঠছে আড্ডা বাড়ছে আনাগোনা।
রেলস্টেশন, হাসপাতাল, বিমানবন্দর, রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার ক্লাবঘর, বাস স্টপেজেও মিলছে ফ্রি ওয়াইফাই এর সুবিধা। এসব জায়গায় বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে ওয়াইফাই ব্যবহারের সুযোগ। কিন্তু জানেন কি, কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই ফ্রি ওয়াইফাই জোনই কাল হয়ে উঠতে পারে আমাদের নিরাপত্তায়?
ফ্রি ওয়াইফাই জোন তৈরি করতে লাগে একটি হটস্পট মেশিন। জোনগুলোতে ব্যবহৃত রাউটারগুলো হয় খুব নিম্নমানের। বেশিরভাগ হটস্পট মেশিন গুলোতে ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা থাকে না। যে কারণে সেই হটস্পটেরে সাথে যেই ডিভাসগুলো সংযুক্ত থাকে তাতে অনায়াসেই প্রবেশ করে ভাইরাস, যা আপনার স্মার্টফোন বা ল্যাপটপে থাকা তথ্য পাচার করে দিতে পারে হ্যাকারদের কাছে। তারা জেনে যেতে পারে আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের পিন নম্বর ছাড়াও আপনার দৈনন্দিন গতিবিধি। পড়ে ফেলতে পারে প্রিজনকে বলা অনেক কথাও। সুতরাং আজই আমাদের সতর্ক হওয়া জরুরী। সুরক্ষিত ওয়াইফাই জোন ছাড়া অন্য কোথাও স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ সংযোগ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেক সময় এমন ফ্রি ওয়াইফাই জোনগুলোতে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি থাকলেও আমরা তা মেনে চলি না। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যথা সম্ভব ফ্রি ওয়াইফাই জোনগুলো এড়িয়ে চলা। তাই আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার সুরক্ষার জন্য সুরক্ষিত ওয়াইফাই জোন ছাড়া অন্য কোথাও ফ্রি ওয়াইফাই জোন ব্যবহার না করাই উত্তম।