হাঁটতে না জানলে জুতা বাঁকা। কথার কথা আরকি। এই বর্ষায় পরিধেয় সবকিছুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত করে জুতা। বিশেষ করে নগরবাসীদের। একটু বৃষ্টিতেই রাস্তায় জমে পানি। সেই পানি ধীরে ধীরে নোংরা হয়, থাকে রোগজীবাণুতে ভরপুর। তাই এ ঋতুতে জুতা কেনার বেলায় একটু বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়। বিশেষ কিছু পরামর্শ মেনে চললে এ বর্ষায় নিস্তার পেতে পারেন পায়ে ফোস্কা পড়া থেকে। এ ছাড়া সুরক্ষিত থাকতে পারবেন নানাবিধ জলীয় সংক্রমণ থেকে। পানির সঙ্গে যুঝতে পারে এমন জুতাই বর্ষার সময় উপযোগী।
এ ঋতুতে জুতার সঙ্গে অবশ্যই মোজা পরা উচিত। কেননা, বর্ষায় জুতা ভিজে গেলে সেই পানির সঙ্গে থাকা রোগজীবাণু আক্রান্ত করতে পারে আপনার দুই পা। সংক্রমণ থেকে বাঁচতেই মোজা পরতে হবে। এখানে প্রশ্ন ওঠে, তাহলে তো মোজাও ভিজবে। সে ক্ষেত্রে সমাধান হচ্ছে নিজের সঙ্গে বাড়তি আরেক সেট মোজা রেখে দেওয়া। গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর পর মোজা পাল্টে ফেললেই চলবে।
ঝড়-জলে যুঝতে পারবে এমন জুতা বাছার পাশাপাশি বর্ষার জুতার যত্নও কিন্তু হবে আলাদা। ভেঙে ফেলতে হবে কিছু পুরোনো ধারণা।
বর্ষায় জুতা কেনার সময় কিন্তু আরও কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন এ সময় পলিফাইবারের জুতা এড়িয়ে চলাই ভালো। কেননা, মানুষের চামড়ায় অ্যালার্জি তৈরি করে পলিফাইবার। একইভাবে রেক্সিন কিংবা ভালোভাবে প্রক্রিয়াজাত না হওয়া চামড়ার জুতা পরিহার করতে হবে।
গাঢ় রঙ অনেকেরই সয় না। অ্যালার্জি হয়। গাঢ় রঙের জুতা এড়িয়ে চলুন। সেই সঙ্গে সিনথেটিক চামড়ার জুতা ব্যবহার না করে ওয়াটারপ্রুফ দামি জুতা পরিধান করুন।
কিন্তু যারা দামি জুতা কিনতে পারবেন না, তাদের ক্ষেত্রে করণীয় কী? তাদেরও উপায় আছে।
কম দামি জুতা কিনলে জুতা জোড়া তেল বা ক্রিমে ডুবিয়ে রাখুন এক রাত। জুতা পরার আগে পায়েও তেল মেখে নিন। এরপর পা পানিতে ধুয়ে ভালো ও নরম কাপড়ে মুছে নিয়ে জুতা পরিধান করুন। এতে করে পায়ে ফোস্কা পরার আশঙ্কা কমবে এবং পায়েও পানি আটকে থাকবে না বেশিক্ষণ। তবে এ ক্ষেত্রেও মোজা ব্যবহার করা উচিত।