কোকা-কোলা বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে ১১.৫ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেয়া করোনা ভাইরাস মোকাবেলায়। করোনার বিস্তাররোধ ও চলমান সংকট উত্তোরণের জন্য দেশের স্বাস্থ্যখাতকে সহযোগিতার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে খাবার ও পানীয় সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখেরও বেশি মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখাই কোকা-কোলা বাংলাদেশের লক্ষ্য।
কোকা-কোলা বাংলাদেশ চলমান মহামারীর প্রেক্ষাপটে দেশের স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামোকে জোরদার করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী বা পিপিইসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য উপকরণ প্রদানে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কোম্পানিটি। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে পার্টনার হিসেবে কেয়ার বাংলাদেশকে পাশে পেয়েছে কোকা-কোলা। এছাড়া করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন, সেই সব ডাক্তার-নার্স-পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পানীয় চাহিদা পূরণে নিজস্ব পণ্য বিনামূল্যে সরবরাহ করছে কোকা-কোলা।
এ প্রসঙ্গে কোকা-কোলার সাউথ ওয়েস্ট এশিয়া অপারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সন্দ্বীপ বাজোরিয়া বলেন, ‘বর্তমানে আমরা এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। এই মহাসংকটের সময় আমাদেরকে নিরাপদ রাখতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, আমরা তাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই। বিশেষত, স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে, যারা এই কঠিন সময়েও নিজেদেরকে আর্ত-মানবতার সেবায় নিয়োজিত রেখেছেন। কোকা-কোলা কোম্পানির লক্ষ্য অনুযায়ী বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে সমাজের উন্নয়নে আমরা সবসময় সচেষ্ট প্রয়াস চালিয়ে যাই। তারই ধারাবাহিকতায় এই মহামারী কাটিয়ে ওঠার জন্য সমাজের সবার সাথে মিলে আমরা কাজ করে যাবো। আশা করি, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারলেই এই সংকট কাটিয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।’