আমাদের প্রত্যেকের ঘরেই কিছু ঘরোয়া টুকিটাকি পণ্য রয়েছে, যেগুলোর বাড়তি গুণ সম্পর্কে আমরা জানি না। শুধু একটি কাজেই সেগুলো ব্যবহার করে থাকি আমরা। যেমন ধরুন বেকিং সোডা। কেক বানাতে বেকিং সোডা লাগেই। আবার সমুচা, শিঙাড়া মুচমুচে করতেও এর ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু রান্নাবান্না ছাড়াও বেকিং সোডার রয়েছে অজানা নানা ধরনের ব্যবহার।
বেকিং সোদা সোডিয়াম বাইকার্বনেট নামের একটি যৌগ দিয়ে তৈরি। এ যৌগ হজমের গোলমাল হলে তা সারাতে উপযোগী। গ্যাস ছাড়াও পেটের অন্যান্য সমস্যা দূর করতে বেকিং সোডার জুড়ি নেই। আর তাই সোডা ওয়াটার পান করলে বদহজমের সমস্যা কমে যায়। পাশাপাশি শরীরের অম্ল ও পিএইচের ভারসাম্য ঠিক রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে বেকিং সোডা।
আমাদের মধ্যে অনেকেই মেদ ঝরাতে কিংবা স্বাস্থ্য ফিট রাখতে ব্যায়াম করেন। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যায়াম শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমায়, পেশিকে ক্লান্ত করে তোলে। এ সমস্যা দূর করতে পারে বেকিং সোডা। পানি ও সোডার মিশ্রণ পান করলে শরীরের ক্লান্তি কমে।
বাতের ব্যথা উপশমেও কাজে আসে বেকিং সোডা। আর তাই খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন বেকিং সোডামিশ্রিত খাবার। মূত্রে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমিয়ে বাতের ব্যথা কমাতে বেকিং সোডা দারুণ কার্যকর।
রূপচর্চায়ও কাজে লাগে বেকিং সোডা। মধুর সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে পাঁচ মিনিট করে নিয়মিত ঠোঁটে লাগান। বেকিং সোডা মৃত কোষ সরিয়ে নতুন কোষ তৈরিতে সহায়তা করে। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগালেও ভালো ফল পাওয়া যায়। এই প্যাক ব্যবহারে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে। তবে বেকিং সোডায় লবণ থাকার কারণে এটি নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার না করাই ভালো। সপ্তাহে দু-এক দিনের বেশি ব্যবহার করলে মুখ খসখসে হয়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া দাঁতের হলুদ ভাব দূর করতে বেকিং সোডা দিয়ে দাঁত মাজলে ভালো ফল পাওয়া যায়।