ব্যস্ত সময়। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ঘড়ির কাঁটায় মুখ গুঁজে চলা ছাড়া উপায় নেই। ফলে নিত্যদিনই যুঝতে হয় স্ট্রেসের সঙ্গে। স্ট্রেস থেকে দুশ্চিন্তা ও হতাশা বাসা বাঁধে। এসব নেতিবাচক বিষয় মানুষের মননের ওপর ছাড়াও প্রভাব ফেলে শরীরের রক্ত, মাংস ও হাড়ে। ইতালির একদল গবেষক জানিয়েছেন, দুশ্চিন্তার কারণে নারীদের হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। এমনকি হাড় ভেঙে যাওয়া বা ফেটে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। পুরুষের তুলনায় নারীর ক্ষেত্রে এর ভয়াবহতা বেশি।
দুশ্চিন্তার কারণে একজন নারীর নিতম্বের হাড় ভাঙার প্রবণতা পুরুষের চেয়ে ৩ শতাংশ এবং অন্যান্য হাড়ের ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ বেশি বলে দাবি গবেষকদের।
ভারতীয় মনোবিজ্ঞানী সাগর মান্ডালা বলেন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা শরীরের জন্য বিপৎসংকেত। একনাগাড়ে মানসিক চাপে থাকলে মানবদেহের যে ‘কর্টিসল’ হরমোন, যা ‘স্ট্রেস হরমোন’ হিসেবে পরিচিত, সেটি ভারসাম্য হারায়। ফলে শরীরে পরিবর্তন আসে। এতে করে হাড় ও অস্থিসন্ধিতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। মানসিক চাপ ভিটামিন ডি’র ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
ইতালির গবেষক ডা. অ্যান্টোনিও কাতালানো বলেন, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত একজন নারী তার স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। ফলে তার হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে এবং হাড় ভাঙার আশঙ্কা বাড়ে।
দুশ্চিন্তা দূর করার সহজ পদ্ধতি হলো জীবনের নিশ্চিত বিষয়গুলো মেনে নেওয়া। কিছু বিষয় থাকে যার ফল কোনো ব্যক্তি নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাই তা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে সেটা থেকে বের হয়ে আসার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।