ঢাকাসহ সারা দেশে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। দীর্ঘ হচ্ছে মৃতের তালিকা। বাড়ছে আতঙ্ক। ডেঙ্গু প্রতিরোধে ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মশক নিধন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার মানুষ।
এমন পরিস্থিতিতে মশার কামড় থেকে দূরে থাকতে মসকিটো রিপেল্যান্ট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন পুর্ণাভা লিমিটেড। রেনাটা লিমিটেডের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পূর্নাভা লিমিটেড বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন বিকল্প ওষুধ নিয়ে কাজ করছে দীর্ঘদিন ধরে।
এ বিষয়ে পুর্ণাভা লিমিটেডের মার্কেটিং ম্যানেজার ডা. লাবণী আহসান বলেন, ‘ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়ার মতো প্রাণঘাতী নানা রোগের বাহক মশা। সামান্য মশার কামড়ে ঘটতে পারে মারাত্মক বিপদ। তাই মশার কামড় থেকে বাঁচতে পুর্ণাভা লিমিটেড দেশের বাজার নিয়ে এসেছে মসকিটো রিপেল্যান্ট। এতে রয়েছে ইউক্যালিপটাস তেল এবং পেপারমিন্ট তেলের সঙ্গে মিলিত সিট্রোনেলা তেল। যা সহজেই মশাকে দূরে রাখবে।’
মসকিটো রিপেল্যান্ট ব্যবহার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হাত-পায়ের খোলা স্থানে স্প্রে করে দিতে হবে মসকিটো রিপেল্যান্ট। একবার স্প্রে করলে দুই-চার ঘন্টা এর কার্যকারিতা থাকবে। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি মসকিটো রিপেল্যান্ট মশাসহ অন্যান্য ক্ষতিকর পতঙ্গ দূরে রাখতে সক্ষম। এটি ঘরের দরজা-জানালায় থাকা পর্দায় স্প্রে করে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।’
পণ্যটি সম্পর্কে রেনাটা লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপক রিনাত রিজভী বলেন, ‘মশাসহ অন্যান্য ক্ষতিকর পতঙ্গ দূরে রাখতে বেশ কার্যকর মসকিটো রিপেল্যান্ট। ইউক্যালিপটাস তেল এবং পেপারমিন্ট তেলের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে এটি। ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন ফার্মেসিসহ বিভিন্ন আউটলেট ও অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে পণ্যটি।’
ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়ার মতো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে পণ্যটি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন রিনাত রিজভী।
প্রসঙ্গত, ডেঙ্গু রোগের ভাইরাসটির বাহক হলো এডিস নামক একটি মশা। প্রধানত এডিস মশা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষের দেহ থেকে জীবাণু নিয়ে তার কামড়ের মাধ্যমের অন্য সুস্থ (আপাত) মানুষকে সংক্রমিত করে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিউলেক্স মশাও ডেঙ্গুর জীবাণুর বাহক হিসেবে কাজ করে। তবে প্রধান বাহক এডিস মশাটি দিনের বেলাতেই শুধু মানুষকে কামড়ায় এবং ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটায়। এডিস মশার আরও স্বাতন্ত্র্য হলো এরা আবদ্ধ ছোট ছোট জলাধারে বংশবৃদ্ধি করে।